বাণিজ্যের প্রাক্তন ছাত্র কে. এন. মহেশ বর্তমানে প্রশিক্ষিত প্রকৃতিবিদ। তিনি ও তাঁর বাবা উভয়েই কুনাগাহাল্লি গ্রামের কৃষক। নিবন্ধটির জন্য ছবিগুলি তোলার সময়ে মহেশ বান্দিপুর জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বেড়ে ওঠা নাছোড়বান্দা আগাছা নিড়ানোর কাজে এক স্থানীয় বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছিলেন।
তাঁরএই চিত্র-নিবন্ধটি বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের সহবাস নিয়ে একটি বৃহত্তর সহযোগী ফটোগ্রাফি প্রকল্পের অংশ। এটি পারি থেকে প্রকাশিত ৬টি চিত্র-নিবন্ধ সম্বলিত সিরিজের চতুর্থতম নিবন্ধ। ২৭ বছর বয়সি মহেশ বলেন, “আমায় যখন প্রথম ক্যামেরা দেওয়া হল, তখন ঠিক কোন ছবি তোলা উচিত তা ঠাহর না করতে পেরে ছবি তুলতে খুবই লজ্জা পেতাম। তারপর যে জিনিস দেখে বেশ নতুন নতুন লাগত অথবা আকর্ষণীয় বলে মনে হত, তার ছবি তুলতাম। আমার এই প্রজেক্টটি খুব পছন্দ, এর মাধ্যমে আমরা গ্রামের দৈনিক জীবনযাত্রা দেখতে পাই।”
এই প্রতিবেদনটি কর্ণাটকের মঙ্গলা গ্রামের মারিয়াম্মা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জ্যারেদ মার্গুলিয়ের সমন্বয়ে সৃষ্ট। সর্বোপরি আলোকচিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণ, উৎসাহ এবং প্রচেষ্টা ছাড়াও এটি ২০১৫-২০১৬ ফুলব্রাইট নেহরু ছাত্র গবেষণা অনুদানে সম্ভবপর হয়েছে, যেটা বাল্টিমোর কাউন্টির মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণা অনুদান। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও নানাভাবে পাশে থেকেছে মারিয়ামা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। বি. আর. রাজীবের অনুবাদের মূল্যও অপরিসীম। পারি’র ক্রিয়েটিভ কমনস্ নীতি অনুসারে আলোকচিত্রের সকল কপিরাইট কেবল ফটোগ্রাফারদের। এগুলির ব্যবহার তথা পুনর্নির্মাণের নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে পারি'র সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বান্দিপুর সিরিজের অন্যান্য কাহিনি:
জয়াম্মার চিতাবাঘ দর্শন
‘এই আমাদের পাহাড় আর বন। এখানেই বাস আমাদের’
ফসল নিয়ে বান্দিপুরে ঘরের পথে
‘সেখানে নিত্য লেগে থাকে চিতা আর বাঘের হানা…’
‘এই ছবিটা তোলার পর থেকেই বাছুরটা বেপাত্তা’