গাধার এক লিটার দুধের জন্য ৭ হাজার টাকা! এক লিটারের যে কোনও কিছুর জন্যই ৭ হাজার টাকা! মনে হতে পারে উজবুকের মতো কথা, কিন্তু ২০২০ সালে গুজরাটের সৌরাষ্ট্রে হালারি গাধার দুধের দাম প্রসঙ্গে এই শিরোনামই চাউর হয়েছিল খবরের কাগজে। এবং বিষয়টা সত্যি ছিল বটে, যদিও মাত্র একটি ক্ষেত্রেই। কিন্তু যাঁরা হালারি গাধা পালন করেন গুজরাটে, তাঁরা যদি আপনার মুখে কখনও শোনেন, প্রায়ই এমন মূল্যে দুধ কেনা হচ্ছে, তাহলে তাঁরা আড়ালে নির্ঘাৎ হেসেই খুন হবেন!
শোনা যায় এই ধরনের দুধের বিরল ওষধি গুণ আছে, তাই দুধের দাম বেশি, তবে তা সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা লিটার ছুঁয়েছে। আর সেটাও হয়েছে, যখন কিনা একটি গবেষণা সংস্থা তাদের গবেষণার জন্য সীমিত পরিমাণে দুধ কিনেছিল।
খবরের কাগজগুলোর শিরোনাম পড়ে, সেখানে কী হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার তাগিদে আমি সৌরাষ্ট্রে গিয়ে হাজির হই। রাজকোট জেলার এক ধু ধু প্রান্তর-সম তুলো খেতে আমার সঙ্গে দেখা হল বছর ষাটের খোলাভাই জুজুভাই ভারওয়াড়ের। পেশায় রাখালিয়া পশুপালক। থাকেন দেবভূমি দ্বারকা জেলার ভানওয়াড় ব্লকে। তিনি প্রতি বছরের মতো মরসুমি পরিযানে পরিবার নিয়ে পশুচারণের জন্য বেরিয়ে পড়েছেন বাড়ি থেকে। তাঁদের এই যাত্রাকালেই সঙ্গে আমার মোলাকাত। দলটির সঙ্গে ছিল ছাগল, ভেড়া আর পাঁচটি হালারি গাধা।
খোলাভাই বলেছিলেন, “শুধুমাত্র রাবারি আর ভারওয়াড় গোষ্ঠীই হালারি গাধা রাখে।” আর তাদের মধ্যেও “খুব কম পরিবারই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছে। পশুগুলি সুন্দর, কিন্তু আমাদের জীবনযাপনের জন্য উপযোগী নয়। ওদের থেকে কোনও লাভই হয় না।” খোলাভাই এবং তাঁর পাঁচ ভাইয়ের মোট ৪৫টি গাধা আছে।
যাযাবর গোত্রীয় এই পশুপালকদের আয় হিসেব করা খুবই জটিল ব্যাপার। তাঁদের নিয়মিত তথা নির্দিষ্ট আয় নেই। আবার অন্যদের মতো মাসকাবারি জ্বালানি বা বিদ্যুতের জন্য তাঁদের নিয়মিত খরচও নেই। কিন্তু সেটাকেই স্বাভাবিক বা সাধারণ ব্যাপার বলে ধরে নিলে ভুল হবে। কথাগুলি বলছেন ভুজ কেন্দ্রিক এনজিও সহজীবনের সেন্টার ফর প্যাস্টোরালিজমের গবেষকরা। তাঁদের হিসেবে, এই পশুপালক গোষ্ঠীর পাঁচ জনের পরিবারে বছরে তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় হয় (পশুর সংখ্যার উপর নির্ভর করে), আর মোট আয় (সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে) বছরে ১ থেকে তিন লাখ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। সবটাই আসে ভেড়া আর ছাগলের দুধ আর পশম বিক্রি করে।
কিন্তু গাধা থেকে তাঁদের আয় একেবারেই হয় না বললেই চলে। বছর বছর সে আয় কমে আসছে। ফলে পশুপালকরাও আর হালারি গাধা রাখার কথা বিশেষ ভাবতে পারছেন না।
সেন্টার ফর প্যাস্টোরালিজমের রমেশ ভাট্টি বললেন, পশুর পালের বহর কেমন হবে, তা নির্ভর করে পালের মালিক পরিবারটি কত বড়ো তার উপর। চার ভাইয়ের একটা পশুপালক পরিবারে সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫টি গাধা থাকতে পারে। আহমেদাবাদের কাছে দীপাবলির পরে প্রতি বছর মেলা বসে। যে সব পরিযায়ী পরিবারগুলির মানুষজন সেই মেলায় আসেন, যাঁরা গাধাকে মোটবাহক পশু হিসেবে ব্যবহার করেন, তাঁরা অনেক সময়ে চার পাঁচটা স্ত্রী গাধা খরিদ করেন।
পশুপালকরা এখনও পর্যন্ত সে ভাবে গাধার দুধের বাজার পাননি। গাধার দুধ মূলধারার পণ্য নয়, বলছেন ভাট্টি। এগুলি গরু-ছাগলের মতো দুগ্ধদায়ী পশু নয়। যদিও ২০১২-১৩ সালে দিল্লির অর্গ্যানিকো সংস্থার পক্ষ থেকে একটি সামাজিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, এই সংস্থার উদ্যোগে গাধার দুধ থেকে তৈরি প্রসাধন সামগ্রী বাজারে ছাড়া হয়েছিল, তা সত্ত্বেও গাধার দুধের জন্য কোনও সংগঠিত বাজার ভারতে তৈরি হয়নি।
হালারি গাধা সৌরাষ্ট্রের নিজস্ব দেশজ প্রজাতির গাধা। এখন যে জায়গা জুড়ে জামনগর, দেবভূমি দ্বারকা, মরবি ও রাজকোট, আগে পশ্চিমভারতের সেই অঞ্চলকেই বলা হত হালার। হালারি গাধার নামও সেখান থেকেই এসেছে। আমি প্রথম রমেশ ভাট্টির কাছ থেকে এই প্রজাতিটির কথা জানতে পারি। রীতিমতো শক্তিশালী সাদা রঙের এই গাধাগুলি দিনে ৩০-৪০ কিলোমিটার হাঁটতে পারে। তাদের মোটবাহক পশু হিসেবে রাখা হয়, এবং গাড়িও টানতে পারে এরা।
ন্যাশনাল ব্যুরো অফ অ্যানিমাল জেনেটিক রিসোর্স গুজরাট থেকে প্রথম হালারি গাধাকেই সেখানকার নিজস্ব গাধা হিসেবে নথিভুক্ত করে। জাতীয় স্তরে হিমাচল প্রদেশের স্পিতি গাধার পরে ও গুজরাটের কাচ্ছি গাধার আগে, অর্থাৎ দুই নম্বরেই রয়েছে এই বিশেষ গাধাটির নাম।
বিশতম পোষ্য পশুসুমারি বা লাইভস্টক সেনসাস ২০১৯ বলছে, গোটা ভারতেই গাধার সংখ্যা চিন্তাজনক হারে কমছে। ২০১২ সালে গাধার সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৩০ হাজার। ২০১৯ সালে সেটা নেমে এসে হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার- হ্রাসের হার ৬২ শতাংশ। গুজরাটে হালারি গাধার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাওয়া, আর তার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পালকের সংখ্যাতেও কমতি আসলে এই হ্রাসটিকেই প্রতিফলিত করে।
২০১৮ সালে একটি গবেষণা শুরু করে সহজীবন (সেটি জমা দেওয়া হয় গুজরাট সরকারের প্রাণীসম্পদ দফতর বিভাগে। তাতে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে সব ধরনের গাধার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়ে হয়েছে মোট ৪০.৪৭ শতাংশ। গুজরাটের ১১টি তালুক, যেখানে হালারি গাধা ও হালারি পালক গোষ্ঠীগুলি থাকে, সেখানেই এই গাধার সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস হয়েছে। ২০১৫ সালে যা ছিল ১১১২, ২০২০ সালে তা হয়ে দাঁড়িয়েছ মাত্র ৬৬২। এই সময়কালে হালারি পালকের সংখ্যাও ২৫৪ থেকে নেমে হয়েছে ১৮৯।
কেন লুপ্ত হচ্ছে যাচ্ছে গাধা? “গাধা চরানোর জন্য জায়গা কোথায়?” জিজ্ঞেস করলেন হতাশ মাঙ্গাভাই জাদাভাই ভারওয়াড় - জাম্পার গ্রামের জনৈক পশুপালক, বয়স পঞ্চাশের কোঠার শেষের দিকে। “বেশিরভাগ চারণক্ষেত্রই এখন চাষজমি হয়ে গেছে। সব জায়গায় চাষ হচ্ছে, আমরা জঙ্গলের জমিতেও গাধা চরাতে পারি না। তাতেও আইনত নিষেধ আছে।” তাঁর সংযোজন, “হালারি পুরুষ গাধার পরিচর্যা করা খুব কঠিন কাজ। তাদের মেজাজ খুবই তিরিক্ষি থাকে, তাড়াতাড়ি তাদের সংখ্যা বাড়েও না।”
জলবায়ুর পরিবর্তন এবং বর্ষার সময়ের বদলও গভীর প্রভাব ফেলেছে যাযাবরদের জীবনে। সৌরাষ্ট্র এই বছর অতিরিক্ত বর্ষা পেয়েছে, বহু ভেড়া ও ছাগল মারা গেছে। “এই বছর ৫০ শতাংশ পশুই মারা গেছে বৃষ্টির জন্য,” বলছেন হামির হাজা ভুদিয়া, থাকেন জাম্পার গ্রামে। বয়স বছর চল্লিশেক। “জুলাই মাসে টানা বৃষ্টি হয়েছে, প্রথমে আমি ভাবলাম, আমার কোনও পশুই বাঁচবে না, কিন্তু কৃষ্ণের কৃপায় কিছু অন্তত বেঁচেছে।’’
“আগে সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য ছিল,” বলছেন রুরাভাই কানহাভাই চড়কা। বছর চল্লিশেক বয়স তাঁর। থাকেন গাধাড়া ব্লকের ভাবনগর জেলার ভান্ডারিয়া গ্রামে। “আগে খুব রোদও থাকত না, আবার খুব বৃষ্টিও ছিল না। চারণের জন্য সহজ ছিল সব। কিন্তু এখন হঠাৎ হঠাৎ প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। আমার ছাগল ভেড়া সব মারা পড়ল। আর অন্য পশুদের থেকে যখন তেমন রোজগার আসে না, তখন বড়ো হালারি গাধার পাল প্রতিপালন করাও মুশকিল হয়ে পড়ে। পরিযানের পথে কোনও পশুচিকিৎসকও থাকেন না যে পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে, ওষুধপত্র দিয়ে তার চিকিৎসা সম্ভব হবে। এর ফলে এই পশুপালকদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যায়।”
কিছু পরিববার তাদের গাধার পাল বিক্রি করে দিয়েছে। পোরবন্দর জেলার পোরবন্দর ব্লকের পারাভারা গ্রামের ৬৪ বছরের মোড়ল তথা হালারি পশুচারক রানাভাই গোবিন্দভাই বললেন, “নতুন প্রজন্ম আর গাধা পালনে আগ্রহী নয়। এখন পরিযানের সময়। আমাদের গাড়ি টানা ছাড়া এই গাধাদের আর কোন উপযোগিতা আছে! সেই কাজও এখন ছোটো টেম্পোতেই করা যায়।” (পশুপালকরা মাঝেমধ্যেই ছোটো টেম্পো ভাড়া করে যেখানে থাকবেন, সেখানে দরকারি ওজনদার জিনিসপত্র রেখে আসেন, যাতে তাঁরা গোটা রাস্তা পশুদের উপর নজরদারি করতে পারেন।)
শুধু তাই নয়, গাধা পালনের জন্য সামাজিক নানা তকমাও জোটে তাঁদের গায়ে। ‘‘কে শুনতে চায় বলুন তো, দেখো গাধেরা যা রাহা হ্যায় [দেখো, গাধারা চলেছে]। কার একথা শুনতে ভালো লাগে? এসব কথা বলা একেবারেই উচিত নয়।” রানাভাইয়ের গাধার সংখ্যা গত দুই বছরে ২৮ থেকে ৫-এ নেমে এসেছে। প্রচুর হালারি গাধা তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন, কারণ শুধুই যে তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল, তা নয়, তাঁর খানিক টাকারও দরকার ছিল।
একটা হালারি গাধা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই বিক্রিবাট্টা হয় আহমেদাবাদ জেলার ঢোলকা তালুকের ভাহুথা গ্রামে। রাজ্য থেকে তো বটেই, ভিনরাজ্য থেকেও তাঁরা নানান যাযাবর গোষ্ঠীর ক্রেতারা আসেন, প্রধানত খনি এলাকায় কাজে বা মালবাহী গাড়ি টানতে সক্ষম এমন শক্তপোক্ত পশু চান তাঁরা।
তাহলে, গাধার দুধের দাম এক লিটারে ৭ হাজার টাকা, এই খবরটা নিয়ে জলঘোলা কেন হয়েছিল? স্থানীয় খবরের কাগজে প্রতিবেদন বেরিয়েছিল: জামনগরের ঢ্রোল ব্লকে মোটা গারেদিয়া গ্রামে হালারি গাধার এক লিটার দুধ ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যে ভাগ্যবান বিক্রি করেছিলেন তাঁর নাম বশ্রমভাই তেঢ়াবাই। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কেউ এই দাম পেয়েছেন বলে তিনি নিজেই কস্মিনকালেও শোনেননি।
‘একটা পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার দায় নেওয়ার কেউ নেই এখানে। আমাদেরই ইনজেকশন দিতে হয়। কোনও পশুচিকিৎসক এখানে নেই’
এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বশ্রমভাই বলেছিলেন, মধ্যপ্রদেশ থেকে একজন তাঁর কাছে আসেন হালারি গাধার দুধ কিনতে। জামনগরের মালধারীরা প্রায় কেউই নিজেদের জন্য গাধার দুধ ব্যবহার করেন না। (মালধারী শব্দটার উৎস - গুজরাটি শব্দ মাল, অর্থাৎ গবাদি পশু ও ধারী, অর্থাৎ অভিভাবক, পশুপালক)। কখনও কখনও শিশুদের চিকিৎসার জন্য অনেকে গাধার দুধ চান, তখন তাদের সেটা বিনাপয়সায় দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের ওই ব্যক্তি কেন দুধ কিনতে চান, তা বলেননি। ফলে বশ্রমভাই এই সুযোগে তাঁর গাধার দুধ দুইয়ে নেন, আর সেই সঙ্গে ক্রেতাকেও দোহন করতে ছাড়েন না! এক লিটার দুধের জন্য ৭ হাজার টাকা চেয়ে বসেন। ক্রেতাটি নগদে সেই দাম দিয়েও দেন। বশ্রমভাই নিজে সাংবাদিকদের বলেছেন যে গোটা ঘটনায় তিনিও স্তম্ভিত হয়ে গেছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও সাংবাদিক এসে জড়ো হন গারেদিয়ায়। কিন্তু কেউই ঠাহর করতে পারেননি কেন ওই ক্রেতা সেই এক লিটার দুধ কিনেছিলেন।
দুধের জন্য যেভাবে গরু পালন করা হয়, সেভাবে গাধা কিন্তু কখনও দুগ্ধদায়ী পশু হিসেবে পালিত হয় না। ‘সেন্টার ফর প্যাস্টোরালিজম’-এর ভাট্টি বলছেন, “একটা গাধা দিনে সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ দিতে পারে। সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ, যা কিনা একটা গরু দিনে যা দুধ দেয়, তার চেয়ে দশগুণ কম। সেটাও মোটে ৫-৬ মাসের জন্যই পাওয়া যায়, যখন গাধা শাবক প্রসব করে।” তাই দুধের জন্য কোনওদিনই পশুপালকদের কাছে গাধার কদর ছিল না।
অগস্টে ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অন ইকুইয়েন্স গুজরাটের মেহসনা জেলা থেকে তাদের বিকানের ফার্মে রিসার্চের জন্য কয়েকটি হালারি গাধা নিয়ে এসেছিল। সহজীবনের রিপোর্ট এনআরসিই-এর গবেষণা দেখিয়ে বলেছে, “হালারি গাধার দুধে অ্যান্টি এজিং ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান রয়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে, অন্য সব গবাদিপশুদের দুধের তুলনায়!”
রমেশ ভাট্টি জানালেন, এই রিপোর্ট বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে হালারি গাধার দুধের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়, এবং হালারি পশুপালকরাও খুবই উৎসাহিত হয়ে পড়েন। ভাট্টি নিজেই গোটা দেশ থেকে এই প্রজাতির গাধা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন পেয়েছেন। এর মধ্যে আদ্বিক ফুডসের মতো সংস্থা, যারা ২০১৬ সালে কচ্ছে ১০০০ লিটার উটের দুধ নিয়ে ডেয়ারি চালু করে, তারাও গাধার দুধ নিয়ে ১০০ লিটারের ডেয়ারি চালু করার কথা ভেবেছে। ‘গাধার দুধ কসমেটিকসের ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয়, এবং গ্রিক, আরবি, মিশরীয় রাজকন্যারা গাধার দুধে স্নান করছেন, এমন উদাহরণও আছে।” ভাট্টির সংযোজন, “এই দুধ ঘিরে ভারত এবং পশ্চিমে কসমেটিকসের নতুন বাজার উঠে আসছে।”
তবে তাঁর ধারণা, বাজারে ডেয়ারি এলেও, এই গাধার দুধের দাম আর কখনই ৭ হাজার টাকা হবে না। তিনি জানালেন, ‘‘সম্প্রতি আদ্বিক সংস্থা পশুপালকদের কাছ থেকে ১২-১৫ লিটার দুধ কিনেছিল গবেষণার জন্য, মালিককে প্রতি লিটার দুধের জন্য দিয়েছে ১২৫ টাকা।”
গাধাপালকদের আকাশকুসুম কল্পনায় ইন্ধন জোগানোর জন্য এই দাম নেহাতই খোলামকুচি!
অনুবাদ: রূপসা