একটা গরু চওড়া কতখানি? একটা মুরগির উচ্চতাই বা ঠিক কতটা? এক এক করে এমনতর না জানি কত কিছু মেপেছিল মেয়েটি। হরেকরকম গাছের পাতার ছবি আঁকা থেকে শুরু করে কোন বীজ কী কাজে বুঝে নিয়ে সেইমতো তাদের বাছাই করা, ধৈর্যের কোনও সীমা ছিল না তার। তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি, যেটি সে তার সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে করেছিল সেটি হল, "আমাদের গাঁয়ের মানচিত্র তৈরি করা।" কাজটা কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না, কারণ: "হাজারটা জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হয়েছিল এই কাজটা করতে গিয়ে, প্রথমে আমাদের গাঁ, তারপর আশেপাশের সব জায়গাগুলো, শেষে আমাদের ব্লক আর জেলা। এতকিছু করে তবেই না আমি নিখুঁত ভাবে আঁকতে পেরেছি।"
এটা ঠিকই যে মাসের পর মাস কেটে গেছে সঞ্জনা মাঝি ইস্কুলে যেতে পারছে না। লকডাউন চলছে তো। তবে মেয়েটি কিন্তু একটিবারের জন্যও পড়াশোনা থামিয়ে দেয়নি। ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার এই আদিবাসী কিশোরীটির অধ্যাবসায় মার্ক টোয়েইনের সেই বিখ্যাত উক্তিটিকে যেন নতুন অর্থ দিয়েছে: "ইস্কুলকে খবরদার তোমার পড়াশোনায় নাক গলাতে দিও না।" অবশ্য সঞ্জনা এক দুর্দান্ত শিক্ষককে হাতে পেয়েছে। ইস্কুলের দরজায় হয়তো তালা ঝুলছে, তবে এই শিক্ষক কিন্তু এক মিনিটের জন্যও হাল ছাড়েনি।
পারি এডুকেশনে
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি
পড়ুন:
ইস্কুল ২০২০: লকডাউনের
মাঝে ভবিষ্যতের জরিপ
এছাড়াও
২০২০ সালের শিশুদিবসকে ঘিরে
প্রকাশিত অন্যান্য গল্পগুলি পড়ুন পারি এডুকেশনে:
পরিযানের খণ্ডচিত্র: আশার
মাঝে পথচলা - চতুর্থ ভাগ
এবং
খু
শি
র বাক্স
খুলে মিলল
শিক্ষা
আর পাঠ
অনুবাদ: জশুয়া বোধিনেত্র (শুভঙ্কর দাস)