ময়ূর বিহার ফেজ ওয়ানের উপকণ্ঠে চিল্লা খাদার গ্রামের বেশিরভাগ অধিবাসীই জীবিকা নির্বাহ করেন রিকশা চালিয়ে, গৃহস্থ বাড়িতে ঠিকে-মজুরি খেটে, রাস্তাঘাট সাফাই করে, আর মাণ্ডিতে সবজি বিক্রি করে। বিদ্যুৎ আর জলের জন্য তাঁদের নির্ভর করতে হয় জেনেরেটার এবং টিউবওয়েলের ওপরেই। কিছু বাসিন্দা জানালেন সরকার থেকে এখনও বিদ্যুৎ আর জলের বন্দোবস্ত করে উঠতে পারেনি। এখানকার বাচ্চাদের কোনো পাকা স্কুলবাড়ি নেই, খোলা জায়গায় অথবা খড়ের চালের তলায় বসে অস্থায়ী স্কুলগুলোতে পড়াশোনা করে, কারণ সরকারি স্কুল অনেক দূরে, পাকা রাস্তা না থাকায় সেখানে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব।
নিজেদের এত দুঃখ-দুর্দশা সত্ত্বেও এখানকার অনেক বাসিন্দাই, গোটা ভারতবর্ষের কৃষক-শ্রমিক, যাঁরা কৃষি সংকটের কথা বলতে সংসদের ২১ দিনের বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে আজ এবং আগামীকাল দিল্লিতে সমাবেশ করছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন, তাঁদের পক্ষ নিয়ে কথা বললেন। চিল্লা খাদারের মানুষের কথা শোনা যাক।
বাংলা অনুবাদ: শৌভিক পান্তি