সাইকেলে চেপে সিংঘু এসেছেন রমেশ কুমার। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর থেকে ২২ ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসে উঠেছেন হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে চাষিদের সংগ্রামস্থলে। ৬১ বছর বয়সি এই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকটির পিছু পিছু গাড়ি নিয়ে এসেছেন তাঁর বোন, ছেলে ও বৌমা।
“বরাবর ইচ্ছে ছিল চাষিদের এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার,” জানালেন তিনি। অবশেষে ইচ্ছেপূরণ হল, আগামীকাল প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে চাষিদের কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন রমেশ।
“সরকার হয়তো ভাবছে যে আইনগুলো প্রত্যাহার করলে জনসাধারণের চোখে ইজ্জত হারাবে, কিন্তু সেটা সত্যি নয়। বরং মানুষের সম্মান কুড়োতে পারবে সরকার,” তাঁর বক্তব্য।
কৃষকরা যে আইনগুলির প্রতিবাদ করছেন: কৃষিপণ্য ব্যবসা – বাণিজ্য (উৎসাহ ও সুযোগসুবিধা দান) আইন, ২০২০ ; মূল্য নিশ্চয়তা ও কৃষি পরিষেবা বিষয়ে কৃষক (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) চুক্তি আইন, ২০২০ ; অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) আইন, ২০২০ । এরই পাশাপাশি, ভারতীয় সংবিধানের ৩২ নং অনুচ্ছেদকে উপেক্ষা করে ভারতীয় নাগরিকের আইনি লড়াইয়ের পথে যাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্যও সমালোচনার মুখে পড়েছে এই আইন।
ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে আগামীকালকের কুচকাওয়াজের। সিংঘু সীমান্তে মালা, পতাকা আর রংবেরঙের কাগজে সেজে উঠছে কাতারে কাতারে ট্রাক্টর। কুচকাওয়াজ আরম্ভ হলে যাতে কোত্থাও কোনও অসুবিধে না হয়, সেজন্য লাইন দিয়ে দাঁড় করানো আছে সজ্জিত ট্রাক্টরগুলি।
অনুবাদ: জশুয়া বোধিনেত্র (শুভঙ্কর দাস)