পারি-র ‘ফেসেস’ বা ‘মুখচ্ছবি’ প্রকল্পের লক্ষ্য হল আমাদের দেশের মানুষ ও মানুষের জীবন-জীবিকার বিপুল বৈচিত্র্যকে একজায়গায় আনা। জেলা ও গ্রাম ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মুখ ও জীবিকার তথ্য যত্ন সহকারে সংগ্রহ করে রাখা হয় বর্তমানে সহস্রাধিক মুখচ্ছবিতে সমৃদ্ধ এই তথ্যভাণ্ডারে।
এই বছর ফেসেস পৌঁছে গেছে দেশের ৫৩টি নতুন ব্লকে। যেমন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লক, যেখানে আমাদের প্রতিবেদক দেখা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ডাকপিওন সমীর পাঠকের সঙ্গে। নতুন যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাদের তথ্যভাণ্ডারে জুড়েছেন তারা হল: কানিক্কর, মলহার, কোলি, পানিয়ান, কাট্টুনায়কন, মালাই আরায়ান, আদিয়ান, এবং বোড়ো।
এই প্রকল্প যখন শুরু হয় তখন বহু ছাত্রছাত্রী এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ছবির মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং সেখানকার পরিস্থিতিকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসার সংকল্প থেকে। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের সংগ্রাহকরা – যাঁদের সিংহভাগই এখনও ছাত্রছাত্রী – সারা দেশের বহু জেলার বহু ব্লকের মানুষজনের ছবি এই প্রকল্পের জন্য সংগ্রহ করে এনেছেন।
আমাদের লক্ষ্য থাকে কোনও একটি রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে অন্তত একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, এবং একজন শিশু বা কিশোর/কিশোরীর ছবি সংগ্রহ করা। গ্রামীণ ভারত ছাড়াও ছোটো-বড়ো শহরে বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের ছবিও সংগ্রহ করা হয় এই প্রকল্পে।
আলাপ করা যাক
সুমঙ্গলার
সঙ্গে, কেরালার আলাপ্পুঢ়া জেলার হরিপদ ব্লকের চার কয়ার সংগীতশিল্পীর একজন – কয়ার বা খ্রিস্টিয় বৃন্দসংগীত এ’বছরে ফেসেস-এর তথ্যভাণ্ডারে নতুন সংযোজিত জীবিকার অন্যতম।
সংগ্রাহকদের অধিকাংশই যেহেতু ছাত্রছাত্রী, তাই এ’বছর ফেসেস-এ সংযোজিত বেশিরভাগ মুখচ্ছবিই যে নানা বয়সি পড়ুয়াদের হবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!
মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের মফলং ব্লক (এ’বছরের আর একটি নতুন সংযোজন) থেকে আমরা পেয়েছি নবিকা খাসাঁইকে । নবিকা নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং সনাতন খাসি লোকনাচের শিল্পী। “সাবেকি পোশাকে সাজতে খুব ভালোবাসি,” বলছে নবিকা, “যদিও নাচের আগে অনেকটা করে সময় যায় এটার পিছনে।”
আমাদের কর্মকাণ্ডে আপনি আগ্রহী হলে ও পারিতে কোনওভাবে যোগ দিতে চাইলে সত্বর যোগাযোগ করুন এই ইমেল আইডিতে: [email protected] । আমাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য সকল ফ্রিল্যান্স ও স্বতন্ত্র লেখক, সাংবাদিক, আলোকচিত্রী, চিত্রনির্মাতা, অনুবাদক, সম্পাদক, চিত্রশিল্পী ও গবেষকদের স্বাগত জানাচ্ছি।
পারি একটি অলাভজনক সংস্থা। আমাদের এই বহুভাষিক জার্নাল ও মহাফেজখানার প্রতি ভালোবেসে যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাঁদের অনুদানের উপর আমরা নির্ভরশীল। পারিকে সাহায্য করতে চাইলে দয়া করে এই অনুদানের লিং কে ক্লিক করুন।
অনুবাদ: দ্যুতি মুখার্জী