ফসলের গতিপ্রকৃতিতে পরিবর্তন, ক্ষীণ হতে থাকা বনভূমি, বোরওয়েল ব্যবহারের হিড়িক, একটা নদীর মৃত্যু এবং এমন আরও অনেক কিছুর মারাত্মক প্রভাবে ধুঁকছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার বায়ু, জল, মাটি, জঙ্গল ও জলবায়ু

রায়গড়ায় ১৬ বছরে বিটি কটনের উত্পাদন বেড়েছে ৫২০০ শতাংশ। ফল হল, দেশজ বাজরা, রকমারি ধান আর বনজ খাদ্যে ভরপুর জীববৈচিত্রে পরিপূর্ণ জায়গাটি এক ভয়ঙ্কর বাস্তুতান্ত্রিক পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে

‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ার’ জন্য গর্ব করতেন কেরালার ওয়েনাড জেলার অধিবাসীরা। আজ সেখানকার কফি ও গোলমরিচ চাষিরা বর্ধিত তাপমাত্রা আর অনিশ্চিত বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটতে থাকা লোকসানের চাপে ধরাশায়ী

কাদাল ওসাই – তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলার পাম্বান দ্বীপের ধীবরদের রেডিও, ধীবরদেরই জন্য। এই সপ্তাহে তার তিন বছর বয়স হবে। এবং এই রেডিও রীতিমত ঢেউ তুলেছে – তার সাম্প্রতিক বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন

মহারাষ্ট্রের শাহপুর তালুকের আদিবাসী জনপদের ধর্মা গরেল ও অন্যান্য বাসিন্দারা ‘জলবায়ুর পরিবর্তন’ শব্দবন্ধটি উচ্চারণ না করলেও অনিয়মিত বৃষ্টিপাত আর ক্রমাগত নিম্নমুখী ফলন সহ এর অপরাপর নানান দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত

এই কাহিনি এক দীর্ঘায়িত মৃত্যুর – উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের থাবা, সাই নদীর শুকিয়ে যাওয়া, এবং এই নতুন বাস্তবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নদীর দুইপাশের গ্রামগুলির সংগ্রামের কাহিনি। আর কাহিনির কথক এমন দুই মানুষ, যাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন এই সংগ্রামের ঠিক কেন্দ্রবিন্দুটিতে

ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী পুঠিমারির পাড়ে যাঁরা থাকেন, প্রতি বর্ষায় তাঁদের তাড়া করে ফেরে বন্যার ভয়। খেত-খামার, ফলন্ত ফসল, এমনকি তাঁতযন্ত্রও ছারখার করে ছাড়ে প্লাবনের পানি। পড়ে থাকে দিনমজুরির রাস্তা। এককাঁড়ি খরচা করে বাঁধ বানিয়েও কোনও লাভ হয়নি

জলবায়ু পরিবর্তন ঘিরে মানুষের ঔদাসীন্য ও ভারতের সামাজিক এবং রাজনৈতিক হাওয়াদলের ছবি এই কবিতার যুগ্ম রূপকের মাধ্যমে প্রতিভাত হয়েছে

ভারতবর্ষের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত রাজ্য, যা সমুদ্রস্তর থেকে মাত্র ১—২ মিটার উপরে অবস্থিত এবং যেখানে প্রতি সাতজনে একজন মৎস্যজীবী, সেই অঞ্চল অতি দ্রুত তার প্রবালপ্রাচীর হারাচ্ছে, এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও সেখানে অনুভত হচ্ছে বিভিন্ন স্তরে