২০১৪-১৫ সালে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত মোট খবরের মাত্র ০.২৪ শতাংশ খবরই গ্রামীণ ভারতবর্ষ বিষয়ে ছিল।
এই চিত্রটি আমরা বদলাতে চাই।
ভারতবর্ষের মিডিয়া-মগ্ন নবীন প্রজন্ম নিজের দেশের প্রকৃত অবস্থা বিষয়ে অজ্ঞ, অথচ কতিপয় মহানগর এবং বড়ো বড়ো শহরের অভিজাত শ্রেণির সম্পর্কে তারা বিস্তর খবর রাখে। কতিপয়ের কুক্ষিগত, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন, বাণিজ্যিকভাবে চালিত সংবাদমাধ্যমের কাজই হল দেশের মানুষকে কূপমণ্ডুকে পরিণত করে রাখা। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ (সিএমএস, দিল্লি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, দেশের প্রধান প্রধান দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠার খবরের শতকরা ৬৬ শতাংশই দখল করে নতুন দিল্লি বিষয়ক প্রতিবেদন। এছাড়াও সিএমএস-এর তথ্য থেকে জানা যায় যে, ২০১৪-১৫ সালে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত মোট খবরের মাত্র ০.২৪ শতাংশ খবর গ্রামীণ ভারতবর্ষ বিষয়ে ছিল। টিভি চ্যানেলগুলির অবস্থাও তথৈবচ।
পারি ভারতবর্ষের সাংবাদিকতার জগতে এই যে এক যুগন্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনার সাহায্য প্রয়োজন।
পরিকল্পনাটি এইরকম:
-
গ্রামীণ ভারতের ৯৫টি অঞ্চলের প্রতিটি থেকে একজন করে ফেলো নিয়োগ করার লক্ষ্যে পিপলস আর্কাইভ অফ রুরাল ইন্ডিয়া অগ্রসর হয়েছে। এই অঞ্চলগুলির অধিকাংশই 'জাতীয় স্তরের' (পড়ুন কর্পোরেটটি মিডিয়া) সংবাদমাধ্যমের অধরা।
এই ফেলোরা হতে পারেনপ্রতিবেদক লেখক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র নির্মাতা আলোকচিত্রীএবং দেশের নানান অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দারা নিজেই।
'অঞ্চল' বলতে আমরা প্রাকৃতিক বা ঐতিহাসিকভাবে গঠিত এলাকার কথা বলতে চাইছি। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর প্রদেশ রাজ্যে রয়েছে রোহিলাখণ্ড, বুন্দেলখণ্ড, ব্রজ, আওয়াধ,সোনভদ্র এবং ভোজপুর (যেটি আবার বিহার পর্যন্ত প্রসারিত)।
- পারির প্রত্যেক ফেলো নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে এক বছর কাজ করেন, এবং এই বছরকালের অন্তত তিনমাস অঞ্চলে ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজে, সেখানকার মানুষ এবং সম্প্রদায়গুলির সঙ্গে অতিবাহিত করেন।
- ৬০ মাসেরও বেশি সময় ধরে, পারি সারা দেশের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে প্রতিবেদন, অডিও, ভিডিও, তথ্যচিত্র, আলোকচিত্র, সংগীত এবং'কথা বলা অ্যালবাম' তৈরি করে চলেছে। পারি এমন একটি ডাটাবেস যা প্রকৃতই ভারতবর্ষের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে, বিশেষ করে ভারতবর্ষের গ্রামে বসবাসকারী ৮৩৩ মিলিয়ন মানুষের। তাদের শ্রম,গল্প, গান, কবিতা, শিল্প এবং আরও অনেককিছুর কথা বলে পারি। ফেলোদের যে নেটওয়ার্ক আমরা গড়ে তুলছি তা দেশের সামাজিক কাঠামো তথা বাস্তবকেই প্রতিফলিত করে। শতাধিক ফেলোর প্রায় অর্ধেক হবেন মহিলা। এছাড়া দলিত বর্গ, আদিবাসী সমাজ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে আগত সাংবাদিকদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকবে। বহু গল্প বলবেন সাধারণ মানুষ নিজেই, সরাসরি। আরও অনেককিছুর সঙ্গে আগামী দিনের শিক্ষার্থী এবং পরবর্তী প্রজন্মের সন্তানসন্ততিদের হাতে এইসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে পারি তুলে দেবে এমন সব পাঠ্যবস্তু যার বিষয় তাদেরই আশপাশের বাস্তব পৃথিবী। পারি দেশের হাতে অর্পণ করবে এমন এক সম্পদ এর আগে যার কথা কেউ কল্পনাই করতে পারেনি।
- পারি একটি বহুভাষিক সাইট। এই সাইটে আপনি অসংখ্য প্রতিবেদন পাবেন যেগুলি পড়ার জন্য আপনি আপনার পছন্দমাফিক ভাষাটি ভাষাতালিকা থেকে একটি ক্লিকের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন। অনেক প্রতিবেদনই একাধিক ভাষায় পাওয়া যাবে, কয়েকটি ১০টিরও অধিক ভাষায় রয়েছে। আমরা প্রতিবেদন এবং ভাষা - এই দুটির সংখ্যাই বাড়ানোর প্রয়াস করছি। পারির অডিও প্রকল্পটিও ভারতের ৭৮০টি জীবন্ত ভাষার প্রতিটিতে কথা বলা মানুষের বয়ান রেকর্ড করতে প্রয়াসী।
একজন ফেলোর বৃত্তির ব্যয়ভার বহন করুন
এছাড়া রেকর্ডিং, ডকুমেন্টেশন, সংকলন, সম্পাদনা (লেখা এবং ভিডিও), প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য কাজকর্ম সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক ব্যয়
কোন কোন উপায়ে আপনি পারিকে সাহায্য করতে পারেন
অর্থ সাহায্য করুন
You can send in donations using a range of payment methods. All donations made to the CounterMedia Trust are eligible for exemption under Section 80G of the Income Tax Act, 1961.
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম / যন্ত্রপাতি দান করুন
পারির ফেলো এবং গ্রামীণ স্বেচ্ছাকর্মীদের কাজে সাহায্য করার জন্য আপনি যদি নতুন অথবা পূর্বে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাঠাতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি হল: স্টিল এবং ভিডিও ক্যামেরা, অডিও ডিজিটাল রেকর্ডার, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক ইত্যাদি।
আপনার পরিচিত মহলে এই বার্তা ছড়িয়ে দিন
আপনার বন্ধু এবং পরিচিতদের এই প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের অমূল্য অবদান রাখতে অনুরোধ করুন এবং আপনার নিজের দেশের কথা তুলে ধরতে আমাদের পাশে দাঁড়ান। গ্রামীণ ভারতবর্ষ বিষয়ে একটি জাতীয় আকর হিসেবে পারিকে গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।
অবশ্যই, আরও নানাভাবে আপনি সাহায্য করতে পারেন। পারির কোর গ্রুপ্রের সদস্যরা এবং স্বেচ্ছাকর্মীরা নিজেরাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে খরচের একটা বড়ো অংশ বহন করেন। সেই কারণেই আপনাদের কাছে একান্ত অনুরোধ দরাজ হাতে আমাদের তহবিলে অর্থসাহায্য করে সাংবাদিকতার দুনিয়ার এই অনন্য প্রচেষ্টাটিকে সফল করতে সাহায্য করুন। সরকার এবং বাণিজ্য সংস্থার অনুদান ছাড়াই এই কাজ আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব - কিন্তু আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া তা মোটেই সম্ভব হবে না।
সহৃদয় ধন্যবাদ,
.,
পি. সাইনাথ