ছত্তিসগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে বস্তারের সদরদপ্তর জগদলপুর যেতে হলে ৩০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোতে হবে। এই পথে কাঙ্কের জেলার ছোটো শহর চর্মা। চর্মার ঠিক কিছুটা আগে একটা ঘাট পড়ে। কয়েক সপ্তাহ আগে এই ঘাটের পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম প্রায় ১০-১৫ জন গ্রামবাসী, এঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি, মাথায় কাঠের বোঝা নিয়ে জঙ্গল থেকে বেরোচ্ছেন।

কাঙ্কের জেলার কোচওয়াহি আর বালোদ জেলার মাচন্দুর - জাতীয় সড়কের ধারে মূলত এই দুটি গ্রাম থেকে এঁরা আসেন। এঁরা প্রায় প্রত্যেকেই গোণ্ড জনজাতির মানুষ, পেশায় হয় প্রান্তিক চাষি নয় খেতমজুর।

PHOTO • Purusottam Thakur
PHOTO • Purusottam Thakur

দলের বেশ কয়েকজন পুরুষ সাইকেলে কাঠের বোঝা বেঁধে নিয়েছেন, আর একজন বাদে সব মহিলারাই মাথায় করে কাঠ বয়ে নিয়ে চলেছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বললাম; তাঁরা জানালেন যে সাধারণত রবিবার আর মঙ্গলবার সকাল সকাল ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সংসারের জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে আবার বেলা নটা নাগাদ নিজেদের ঘরে ফিরে যান।

PHOTO • Purusottam Thakur

অবশ্য এঁরা প্রত্যেকেই যে নিজের ঘরের জন্য জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করছেন এমনটা নয়, মনে হল তাঁদের কয়েকজন এই সংগৃহীত কাঠের বোঝা বাজারে বিক্রির জন্যও নিয়ে যান। এই অঞ্চলে প্রান্তবাসী মানুষের সংখ্যাই বেশি। জ্বালানি কাঠ বিক্রি করে তাঁদের কিছু উপার্জন হয়। এই সংটাকীর্ণ অঞ্চলে যৎসামান্য টুকরোগুলোই মানুষের জীবিকার সহায়।

অবশ্য এঁরা প্রত্যেকেই যে নিজের ঘরের জন্য জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করছেন এমনটা নয়, মনে হল তাঁদের কয়েকজন এই সংগৃহীত কাঠের বোঝা বাজারে বিক্রির জন্যও নিয়ে যান। এই অঞ্চলে প্রান্তবাসী মানুষের সংখ্যাই বেশি। জ্বালানি কাঠ বিক্রি করে তাঁদের কিছু উপার্জন হয়। এই সংটাকীর্ণ অঞ্চলে যৎসামান্য টুকরোগুলোই মানুষের জীবিকার সহায়।

PHOTO • Purusottam Thakur

বাংলা অনুবাদ : শৌভিক পান্তি

Purusottam Thakur

পুরুষোত্তম ঠাকুর ২০১৫ সালের পারি ফেলো। তিনি একজন সাংবাদিক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা। বর্তমানে আজিম প্রেমজী ফাউন্ডেশনে কর্মরত পুরুষোত্তম সমাজ বদলের গল্প লেখায় নিযুক্ত আছেন।

Other stories by পুরুষোত্তম ঠাকুর
Translator : Shouvik Panti

উত্তর ২৪ পরগনার মফস্বল শহর ধান্যকুড়িয়ার মানুষ শৌভিক পান্তির ঠিকানা এখন কলকাতা। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শৌভিক ডিজিটাল হিউম্যানিটিজে প্রশিক্ষিত। কলকাতার বিখ্যাত কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ায় পুরোনো, ধূলিমলিন এবং অমূল্য বইয়ের সন্ধান তাঁর প্রিয়তম কাজ।

Other stories by Shouvik Panti