“আমি জানি এই কৃষকরা কেন এখানে সমবেত হয়েছেন,” বলছেন নাসিকের সুয়োজিত কমপ্লেক্সের একটি বাণিজ্য সংস্থার ৩৭ বছর বয়সী অফিস সহকারী চন্দ্রকান্ত পাটেকর। পদব্রজে তাঁদের গন্তব্য মুম্বই নাকার (প্রবেশ পথ) ময়দানে পৌঁছনোর পথে হাজার হাজার কৃষক যখন ২০শে ফেব্রুয়ারি সন্ধে ৬টায় এই ভবনটি অতিক্রম করছিলেন তখন পাটেকরের কাজ সবে শেষ হয়েছে।

পাটেকর বলেন, “গ্রামের মানুষের কাছে এক বিন্দু জলও মূল্যবান। জলের জন্য তাঁদের কত কিলোমিটার পথ রোজ হাঁটতে হয়। অথচ শহরে আমরা প্রতিবার স্নান করার সময়েই অন্তত ২৫-৩০ লিটার জল অপচয় করি।” তিনি আরও বলেন যে তিনি কৃষকদের দুর্দশার বিষয়ে অবগত আছেন, কারণ যে আর্থিক সংস্থায় তিনি কাজ করেন সেখান থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করার জন্য কৃষকদের প্রাণপাত সংগ্রাম করতে হয়। “আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে বহু সংখ্যক কৃষক আছেন। তাঁরা আমাদের বলেন যে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় জল নেই, তাই তাঁরা প্রদেয় কিস্তির টাকা শোধ দিতে পারবেন না।”

কৃষকেরা যখন মিছিল করে অগ্রসর হচ্ছেন, তখন পাটেকর ( উপরের কভারচিত্রে নীল জামা পরিহিত যিনি অঙ্গুলি নির্দেশ করছেন ) এবং অপর একটি আর্থিক সংস্থার এক বন্ধু তাঁদের অফিসের ছাদ থেকে সে দৃশ্যের ছবি এবং সেলফি তুলে রাখেন। পাটেকর মনে করেন কৃষকদের বাঁচানোর দায় বর্তমান সরকারের মোটেই নেই। “যারা গত চারবছরে কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়নি তারা মাত্র চারমাসে দাঁড়াবে ভেবেছেন?” কৃষকদের দাবিদাওয়া সরকার বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জেনে তিনি অবশ্য খুশি হয়েছেন।

বাংলা অনুবাদ : স্মিতা খাটোর

Rahul M.

রাহুল এম. অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুর জেলায় স্বাধীনভাবে কর্মরত একজন সাংবাদিক। তিনি ২০১৭ সালের পারি ফেলো।

Other stories by Rahul M.
Translator : Smita Khator

স্মিতা খাটোর পিপলস্‌ আর্কাইভ অফ রুরাল ইন্ডিয়া, পারি’র অনুবাদ সম্পাদক। নিজে একজন বাংলা অনুবাদক স্মিতা দীর্ঘদিন ভাষা এবং আর্কাইভ বিষয়ে কাজকর্ম করছেন। জন্মসূত্রে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, অধুনা কলকাতা-নিবাসী। নারী এবং শ্রমিক সমস্যা নিয়ে লেখালিখি করেন।

Other stories by স্মিতা খাটোর