করিমুল হক পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার একটি চা বাগানে কাজ করেন। ধলাবাড়ি এবং তার আশেপাশের গ্রামের রোগীদের তিনি নিজের মোটরবাইকে করে হাসপাতাল ও অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পৌঁছে দেন। ধলাবাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ক্রান্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র আছে বটে, তবে সেখানে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেই। এই এলাকায় চারচাকা বিশিষ্ট অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নেই।
করিমুলের অনন্য ‘বাইক অ্যাম্বুল্যান্স’ এবং তাঁর মোবাইল নম্বর (চিকিৎসার প্রয়োজনে পড়েছেন এমন মানুষজনের কাছে) গ্রামে গ্রামে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাঁর এই সেবাকর্ম বিষয়ে স্থানীয় ডাক্তারমহল, পুলিশ প্রশাসন ও ব্লকের আধিকারিকরা অবগত আছেন।
চা বাগানে কাজ করে মাসে ৪০০০ টাকা মাইনে পান করিমুল। এই আয়ের শতকরা ২৫% মোটরসাইকেলের তেল ও অন্যান্য খরচের জন্য বরাদ্দ। আরও ২৫% যায় ব্যাঙ্কের কর্জ মেটাতে। এর বেশি টাকাপয়সার প্রতি তাঁর কোনও লোভও নেই। করিমুলের বিশ্বাস করেন তাঁর আল্লাহ-ই তাঁকে উপযুক্ত পুরস্কার দেবেন।
সংগীতজ্ঞ হোরহে মেন্ডেজ তার অনন্য সৃষ্টি ‘কোল্ড’ এর থেকে কিছু অংশ ছাত্রদের নির্মিত এই ফিল্মে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ায় পারি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
অনসূয়া চৌধুরী করিমুল হকের সঙ্গে এই দলটির পরিচয় করিয়ে দেন এবং এই ফিল্মে স্থানীয় ব্যবস্থাপকের দায়িত্বও পালন করেন। মৌমিতা পুরকায়স্থ এই ছবিটির সাউন্ড ম্যানেজার।
উপরোক্ত দুইজন এবং তিন পরিচালক (নিচে তাঁদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগে স্নাতকোত্তর চতুর্থ সেমেস্টারের ছাত্র।
অনুবাদ: মহুয়া মহারানা