বাঁদিকে: ৪৭ বছরের প্রফুল্ল দেবনাথ ২৩ বছর ধরে অধুনা লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির বাজারে ছোটখাট কাজ করতেন। ক্রেতাদের বাড়িতে মাল বোঝাই বস্তা পৌঁছে দেওয়া বা গাড়ি থেকে দোকানে মাল বয়ে নিয়ে আসা তাঁর কাজ ছিল। তাছাড়া পুরো বাজার ঝাঁট দিয়ে তরিতরকারির দোকান প্রতি ২ টাকা এবং অন্যান্য দোকান থেকে ১ টাকা আয় হত। কিন্তু এখন বাজার স্থানান্তরিত হয়েছে দত্তপাড়ার মাঠে। অতএব তার রোজগার আধা হয়ে গেছে। যদিও আনাজ বিক্রেতাদের কেউ কেউ তাঁকে সকালের জলখাবার ও দুপুরের খাবারটা সরবরাহ করে থাকেন। তিনি বলেন, “আমি যদি পরিষ্কার না করি তাহলে বাজার নোংরা থাকবে। বাজার পরিষ্কার করলে আমার নামটাও সকলে জানবে। কেউ আমার মতো করে কাজ করতে পারে না।” ডানদিকে: যেহেতু মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্যই বাজার খোলা থাকে, তাই অনেকেই সস্তায় পাবেন বলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকেন। খোকা রায়, ৫০, কাঠের কাজ করতেন। তারপর বাড়িতে ছোটো একটা মুদিখানার দোকান দিয়েছিলেন। কিন্তু লকডাউনের ফলে তাঁকে বাজারে এসেই মাল বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে প্রায় দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করতেন, এখন তা কমে গিয়ে মাত্র ২০০ – ২৫০ টাকায় ঠেকেছে। তিনি বললেন, 'পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে কে বাড়ি থেকে বেরবে? বলুন তো আমরা সবজি বেচব কেমনভাবে?'