জাঁতাপেষাইয়ের গানের এই কিস্তিতে মুলশি তালুকের কুসুম সোনাওয়ানে সহ অন্যান্য পরিবেশিকাদের গাওয়া ১৪টি ওভিতে উদযাপিত হয়েছে সাম্যের লক্ষ্যে বাবাসাহেব আম্বেদকরের লড়াই ও জাতপাত প্রথা উপড়ে ফেলার প্রয়াস

ভিমাইয়ের ছেলে তার কর্ম মহান, দিকে দিকে মোরা তার গাহি জয়গান,
দিল্লির মসনদে শিকড় গাড়িয়া, সাম্যে সাম্যে দিল স্বদেশ ভরিয়া।

২৫ মার্চ, ২০১৫, সকাল ৯টা নাগাদ আমরা পুণে জেলার নন্দগাঁও গ্রামে কুসুম সোনাওয়ানের বাড়িতে পৌঁছলাম। “আমদের তৈরি এখনও বাকি আছে,” তিনি জানিয়েছিলেন, “পানি ভরা হয়নি, বাচ্চাকাচ্চার সকালের খাবারটুকুও রাঁধিনি এখনও।” বললাম, তিনি ও অন্যান্য গাইয়েরা প্রস্তুত হওয়া অবধি অবশ্যই অপেক্ষা করব। আমরা আজ তাঁদের জাট্যাভারচি ওভ্যা (জাঁতাপেষাইয়ের গান) রেকর্ড করতে এসেছি।

ঘরকন্নার কাজ সারতে সারতে আঙুল তুলে কুসুমতাই দেখালেন, সামনের ঘরের দেওয়ালে কেমন শোভা পাচ্ছে সারি সারি পুরস্কার। গরিব ডোংরি সংগঠনার কাজ করার জন্য এগুলি পেয়েছেন তিনি — এই সংগঠনটি পুণে জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে গাঁয়ে গাঁয়ে দরিদ্র মানুষদের জন্য কর্মরত। খেতাবের পাশেই সজ্জিত রয়েছে জ্যোতিবা ও সাবিত্রীবাই ফুলের ছবি, এবং ড. বাবাসাহেব আম্বেদকরের একটি প্রকাণ্ড পোস্টার। তবে সব্বার আগে যেটা চোখে পড়ল, ছাদের কাছাকাছি সেলোটেপ দিয়ে সাঁটা সংবিধানের প্রস্তাবনা — মারাঠি ভাষায় ছাপা।

সেথায় একটি ভাবনার কথা বলা আছে — ‘দরজ্যাচি আনি সন্ধিচি সমান্ত’, অর্থাৎ স্থিতি এবং সুযোগের সমতা — কুসুমতাই ও তাঁর বন্ধুরা মিলে সেদিন এমন একখান ওভি গেয়েছিলেন, যেটার বুনিয়াদ ছিল এই কথাটা। ওঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছিল বাবাসাহেবের মহান সব কীর্তির দাস্তান, সুরে-সুরে উপচে পড়েছিল গর্ব।

তেমনই একটি কীর্তি ছিল আম্বেদকরের নেতৃত্বে দোসরা মার্চ, ১৯৩০ সালের সেই সত্যাগ্রহ, যেদিন নাসিকের কালারাম মন্দিরে গিয়ে দাবি তুলেছিলেন: ‘অচ্ছুৎ’ বর্গের প্রবেশাধিকার। গোটা একটা মাস আন্দোলন চলার পরেও দলিতদের জন্য দেবালয়ের দুয়ার উন্মুক্ত করা হয়নি। ১৯৩৪ অবধি লড়াই চালানোর পর শেষমেশ সরে আসেন বাবাসাহেব, তিনি বুঝেছিলেন, হিন্দু সমাজকে সত্যি সত্যিই উদ্ধার করে যদি সব্বার জন্য সমতা আনতে হয়, তাহলে উপায় একটাই — জাতি ব্যবস্থার পূর্ণ বিলুপ্তি।

Wall full of posters and photographs
PHOTO • Samyukta Shastri
Preamble to the constitution
PHOTO • Samyukta Shastri

আম্বেদকর, তথাগত বুদ্ধ এবং সাবিত্রীবাই ও জ্যোতিবা ফুলের ছবিতে ছবিতে মুখর কুসুমতাইয়ের ভিটেখানি। সংবিধানের প্রস্তাবনা সাজানো রয়েছে একটি দেওয়ালে

অ্যানাইলেশন অফ কাস্ট (১৯৩৬) গ্রন্থে ড. আম্বেদকর বলেছেন:

“এটা সত্যিই দুঃখের বিষয় যে বর্ণাশ্রমের রক্ষকরা আজও বর্তমান। তাদের প্রতিরক্ষার ফিকির নানান। এইভাবে সমর্থন করা হয় যে জাতিভেদ প্রথা শ্রম বিভাজনের অন্য নাম মাত্র; এবং প্রতিটি সভ্য সমাজে যেহেতু শ্রম বিভাজন একটি প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য, তাই বর্ণপ্রথায় ভুল কিছু নেই — এই যুক্তিটি সাজানো হয়। এখন এই ধারণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির উপর তাগিদ দেওয়া উচিত তা হল জাতপাত নিছকই শ্রমের বিভাজন নয়। এটি শ্রমিকদেরকেও বিভাজিত করার পন্থা। নিঃসন্দেহে সভ্য সমাজে শ্রম বিভাজন দরকার। কিন্তু কোনও সভ্য সমাজেই শ্রম বিভাজনের সঙ্গে মজুরদের মধ্যে এরকম দুর্লঙ্ঘ্য বিভাজন জুড়ে দেওয়া হয় না।”

এই না-দেওয়া বক্তৃতায় (পরে প্রবন্ধ রূপে প্রকাশিত) তিনি এটাও বলেছিলেন যে ‘অচ্ছুৎ’-দের গতিবিধির উপরেও বেড়ি পরানো রয়েছে, দলিত জাতির অনেকের হাতে পয়সা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সাদামাটা পোশাক ও যৎসামান্য গয়না পরতে বাধ্য হতেন, কারণ দামিদামি জিনিস তাঁদের পরা নিষেধ ছিল। কে কোন খাবারদাবার খাবে, সে বিষয়েও উঁচুজাতির লোকের অনুমতি নিতে বাধ্য করা হত দলিতদের — জয়পুর রাজ্যের চাকওয়ারা গ্রামের এমনই একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন বাবাসাহেব:

১৯৩৬ সালে এপ্রিল মাসে, তীর্থ করে ফেরার পর জনৈক ব্যক্তি তাঁর স্বজাতির ‘অচ্ছুৎ’-দের সান্ধ্যভোজে আমন্ত্রণ জানান। পরিবেশিত খাবারদাবারের মধ্যে ঘি ছিল, এতে উঁচুজাতির গ্রামবাসীরা এমন রেগে যায় যে তারা অতিথিদের লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে, খাবারদাবার সব উল্টে ফেলে তছনছ করে দেয়। ভয় দেখিয়ে পালাতে বাধ্য করে আমন্ত্রিতদের। একজন ‘অচ্ছুৎ’ মানুষ ঘি পরিবেশন করছে, ঘি খাচ্ছে, উচ্চবর্ণের চোখে সেটা ছিল নিছকই দম্ভ ও তাদের জাতের অবমাননা।

তার বহু দশক বাদে, সাথীদের সঙ্গে কুসুমতাই গেয়েছেন:

ছিল না ছিল না ভোট দিবার অধিকার, গোলামের মতো মোরা মাগিতাম ভিখ,
আমাদের সংরক্ষণের এ লড়াই, লড়েছিল ভীমরায় একা নির্ভীক।

ওডিও ও ভিডিওতে যে ১৪টি ওভি এখানে পরিবেশিত হয়েছে, এটি তার প্রথম।

ভিডিওতে দেখুন: কুসুমতাই গাইছেন, ‘এভাবেই আমাদের তরে, অধিকার এনেছিল ভিমাইয়ের ছেলে [বাবাসাহেব আম্বেদকর]’

অ্যানাইলেশন অফ কাস্ট (১৯৩৬) গ্রন্থে ড. আম্বেদকর বলেছেন: ‘...জাতপাত নিছকই শ্রমের বিভাজন নয়। এটি শ্রমিকদেরকেও বিভাজিত করার পন্থা’

মহিলাগণ জানাচ্ছেন, বছরের পর বছরের হকের জন্য লড়ার পর দলিত সমাজ অসহায় হয়ে পড়েছিল, বুদ্ধিতে কিছুই আর কুলোচ্ছিল না। ঠিক তখনই ভীমরায় তাঁদের জন্য সংরক্ষণ এনে দিলেন, শিক্ষা ও চাকরি দুটোই সুনিশ্চিত হয়ে গেল। রিজার্ভেশনে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন দলিতরা, মেয়েরাও জনসমক্ষে কথা বলতে লাগলেন। গায়কবৃন্দের কথায়, এ সবই এক হীরের কৃপায় — রামজির পুত্র, বাবাসাহেব আম্বেদকর।

অনেকগুলোয় দোহায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বাবাসাহেবকে হয় রামজি কিংবা ভিমাইয়ের ছেলে বলে সম্বোধন করা হচ্ছে। চতুর্থ ওভিতে গায়করা গাইছেন যে রামজির ছেলে বিলেতে গিয়েছেন উচ্চশিক্ষার জন্য — ড. আম্বেদকর যে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করার পর লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে পড়তে গিয়েছিলেন, এই ওভি আদতে সেই প্রসঙ্গে। পঞ্চম ওভিতে এক গাইয়ে তাঁর সইকে বলছেন, “ভিমাই যারে জন্ম দিয়েছিল, গোল-টেবিলের সভায় তাহার নামটি বিশাল হল” — দ্রষ্টব্য ১৯৩০-৩২ সালের মাঝে চলতে থাকা ঐতিহাসিক রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স, যেখানে ‘ডিপ্রেস্ড ক্লাসেজ’ বা অনুন্নত শ্রেণিসমূহের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বাবাসাহেব।

পঞ্চম ওভি মোতাবেক ঠিক এভাবেই রাজধানী দিল্লিতে নিজের জোরে নামডাক হয়েছিল তাঁর। দলিতদের জন্য এসকল কৃতিত্ব অনন্ত গর্বের উৎস, চতুর্থ থেকে দশম দোহায় সেই কথাই বলা আছে। গাইয়েরা বলছেন, বাবাসাহেবের “কর্ম মহান...সাম্যে সাম্যে দিল স্বদেশ ভরিয়া।”

অষ্টম ওভিতে জানা যাচ্ছে, ১৯২৭ সালে “ভীমরাজা ওই, স্বর্গ-মর্ত্য সব উল্টিয়া” দিয়েছিলেন, দলিতরা যাতে নাসিকের কালারাম দেউলে ঢুকতে পারে। বামুনের দল দলিতদের মন্দিরে ঢুকতে দিত না, নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু “নয় কোটি সাথী যাতে কালারাম দেবতার দরশন পায়,” সেজন্য ভীমরায় সত্যাগ্রহ আরম্ভ করেন, গায়কেরা জানালেন। (ওভিতে ভুলবশত বলা আছে যে উক্ত সত্যাগ্রহটি ১৯২৭ সালে হয়েছিল; আদতে এটি ১৯৩০ সালে সংঘটিত হয়।)

১১ থেকে ১৩ নম্বর ওভি তিনটি জাতপ্রথার ভাষ্য। গাইয়েরা বলছেন, কে কোন পরিবারে জন্মাবে সেটা তার হাতে নেই। অথচ জাতিভেদের দুর্লঙ্ঘ্য বিভাজন আমাদের টুকরো টুকরো করে ছেড়েছে। ভীমরায় তাঁর অনুসারীদের যা বলেছিলেন — কালারাম দেউলের দেবতা নিছকই পাষাণমূর্তি, অর্থাৎ হিন্দুধর্মের জাতপাত প্রথা ঠিক পাথরের মতোই হৃদয়হীন — অন্তিম দোহায় এরই স্মৃতিচারণ করেছেন মহিলারা।

এই অডিও ক্লিপটিতে ১৪টি ওভি শুনুন:

नव्हता मतदाना चा हक्क केला तेंव्हा हाज ना हाज
आरक्षण दिलं आम्हा, भीमराया यांनी माझ्या

आमच्या ना हक्कासाठी आलो होतो काकुलती
मिळालं ना आरक्षण, महिला भाषण बोलती

नव्हतं ना आरक्षण, नव्हता कोणताच हाक
अशी एक हिरा जल्म आला रामजी बाबा यांचा लेक

अशी रामजी च्या पोरानं, यानं उंच शिक्षण घ्यावं
अशी रामजी च्या पोरानी, यांनी विलायते ला जावं

बाई भिमाई रायानी एक करनी मोठी केली
दिल्लीच्या गं तक्त्या वरी गोलमेज सभाना हालविली

अशी भिमाई रायानी केली थोरच करणी
दिल्लीच्या गं तक्त्यावरी केली एक धरणी

अशी रामजी च्या पोरानं केली एकच करणी
यांनी समानतेचा नारा दिला भारत धरणी

१९२७ साली एक नवल मोठं केलं
काळाराम मंदिराचं दरवाजे खुलं केलं

बाई भीम रायानी आकाश मातकुला केला
नवकोटी बांधवांना काळाराम दाखविला

अशी मंदिराला जाया आम्हा केली मनाई
रामजी च्या पुतरानी मोठी केली कमाई

मानव जाती मधी त्यांनी केला होता कोष
मानव ना जल्म आले, त्यात त्यांचा काही दोष

अशी मंदिराला जाया होती मोठीच आवड
बामन जाती यांनी केली होती गं निवड

१९२७ साली मोठा सत्याग्रह केला
अशी भिमाई रायानी आम्हा हक्क मिळवून दिला

काळाराम मंदिरात आहे दगडाचं पाषाण
बाई भीमरायानी दलितांसाठी दिलं भाषण

ছিল না ছিল না ভোট দিবার অধিকার, গোলামের মতো মোরা মাগিতাম ভিখ,
আমাদের সংরক্ষণের এ লড়াই, লড়েছিল ভীমরায় একা নির্ভীক।

ভ্যাবাচ্যাকা, অসহায়, কোথা অধিকার পাই? কিছুতেই কিছুতেই খাটত না মাথা,
পেলাম আরক্ষণ, হলাম স্বাধীন, জনতার ভিড়ে শুনি মেয়েদের কথা।

রিজার্ভেশন প্রথা ছিল না সে যুগে, মোদের ছিল না ছাই অধিকার কোনও,
কিন্তু সে যুগ শেষে রামজির ঘরে, জন্মালে ছেলে এক, জহরত যেন।

উচ্চশিক্ষা চাহে রামজির খোকা,
বিলেত-বিভুঁই গেল সে যে একা একা।

শোন রে মেয়ে, ভিমাই যারে জন্ম দিয়েছিল,
গোল-টেবিলের সভায় তাহার নামটি বিশাল হল।

ভিমাইয়ের ছেলে তার কর্ম মহান, দিকে দিকে মোরা তার গাহি জয়গান,
দিল্লির মসনদে শিকড় গাড়িয়া, সাম্যে সাম্যে দিল স্বদেশ ভরিয়া।

ভিমাইয়ের খোকা তার কর্ম একক, সাহসের কূল নাহি, এতখানি ধক।
ভারত দেশের মাটি, স্বদেশ বাতাস, সাম্য স্লোগান তুলে ভেদিল আকাশ।

শুনেছি সাতাশ* সালে ঘটেছিল যাহা, আজব ব্যাপার সেতো শোন্ শোন্ আহা!
কালারাম দেউলের অনড় কপাট, সেদিন সবার তরে খুলেছিল হাট।

শোন্ শোন্ সই, ভীমরাজা ওই, স্বর্গ-মর্ত্য সব উল্টিয়া যায়
নয় কোটি সাথী যাতে কালারাম দেবতার দরশন পায়।

আমাদের মানা ছিল মন্দিরে ঢোকা
সে মানা মুছিয়া দিল** রামজির খোকা।

করেছে বিভক্ত মানুষের রক্ত — জাতের বাহার,
কে কোথা জন্ম নেবে, সে দোষ কাহার?

কালারাম মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল বড্ড সবার,
কিন্তু বামুনগুলো বিধান বানিয়ে দিল আটকে দুয়ার।

সাতাশ সালের সত্যাগ্রহে জাঁকজমকের মাঝে,
ভিমাইসূতের জোরেই মোদের হকের লড়াই সাজে।

কালারামের ঠাকুর, আর জাতপাতের ওই মুগুর, দুটোই গড়া পাথর কুঁদে শোন্ রে মেয়ে শোন্!
ভীমরায় সেই দলিত-সভায় বলল এটাই বোন।

দ্রষ্টব্য:

*গায়ক ভুলবশত বলেছেন যে কালারাম মন্দিরের সত্যাগ্রহটি ১৯২৭ সালে হয়েছিল। বাস্তবে এটি সংঘটিত হয় ১৯৩০-এ।
**বাবাসাহেব আম্বেদকরের নেতৃত্বে দলিতদের মিছিল যখন নাসিকের দেবালয়ে পৌঁছয়, ‘অচ্ছুৎ’-রা যাতে মন্দিরে না ঢুকতে পারেন, সেজন্য দরজা বন্ধ করে দেয় পুরোহিতরা। গোটা একটা মাস ধরে আন্দোলন চলেছিল। শেষমেশ দলিতদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল বটে, তবে সেটা কয়েক বছর বাদে।

Portraits of 5 women
PHOTO • Samyukta Shastri

গায়কবৃন্দ, বাঁদিক থেকে: শালিনী কাম্বলে, লীলা কাম্বলে, সংগীতা সোনাওয়ানে, শোভা কাম্বলে ও আশা শিন্ডে

PHOTO • Namita Waikar


পরিবেশিকা/গায়িকা: কুসুম সোনাওয়ানে

গ্রাম: নন্দগাঁও

তালুক: মুলশি

জেলা: পুণে

জাতি: নববৌদ্ধ

বয়স: ৭০

সন্তান: দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলে

পেশা: কৃষক

তারিখ: ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ রেকর্ডিং (গান, আলোকচিত্র ও ভিডিও) করা হয়েছিল

পোস্টার: সিঞ্চিতা মাজি

অনুবাদ: জশুয়া বোধিনেত্র

நமீதா வாய்கர் எழுத்தாளர், மொழிபெயர்ப்பாளர். PARI-யின் நிர்வாக ஆசிரியர். அவர் வேதியியல் தரவு மையமொன்றில் பங்குதாரர். இதற்கு முன்னால் உயிரிவேதியியல் வல்லுனராக, மென்பொருள் திட்டப்பணி மேலாளராக பணியாற்றினார்.

Other stories by Namita Waikar
PARI GSP Team

பாரியின் திருகை பாடல் குழு: ஆஷா ஓகலே (மொழிபெயர்ப்பு); பெர்னார்ட் பெல் (கணினிமயமாக்கள், தரவு வடிவமைப்பு வளர்ச்சி மற்றும் பராமரிப்பு) ஜித்தேந்திர மெயிட் (மொழியாக்கம் மற்றும் மொழிபெயர்ப்பு உதவி), நமீதா வைகர் (தட்டத்தலைவர், தொகுப்பாசிரியர்); ரஜனி கலேத்கர் (தகவல் உள்ளீடு)

Other stories by PARI GSP Team
Photos and Video : Samyukta Shastri

சம்யுக்தா சாஸ்திரி ஒரு சுயாதீன பத்திரிகையாளர், வடிவமைப்பாளர் மற்றும் தொழில்முனைவோர். அவர் (PARI) கிராமப்புற இந்தியாவின் மக்கள் காப்பகத்தை நடத்தும் கவுண்ட்டர் மீடியா டிரஸ்டில் அறங்காவலராக உள்ளார். மேலும்,ஜூன் 2019 வரை கிராமப்புற இந்தியாவின் மக்கள் காப்பகத்தில் உள்ளடக்க ஒருங்கிணைப்பாளராக(Content Coordinator) பணிபுரிந்துள்ளார்.

Other stories by Samyukta Shastri
Editor : Subuhi Jiwani

சுபுஹி ஜிவானி, ஊரக இந்திய மக்கள் ஆவணவகம் - பேரியின் முதுநிலை ஆசிரியர்.

Other stories by Subuhi Jiwani
Translator : Joshua Bodhinetra

ஜோஷுவா போதிநெத்ரா, பாரியின் இந்திய மொழிகளுக்கான திட்டமான பாரிபாஷாவின் உள்ளடக்க மேலாளராக இருக்கிறார். கொல்கத்தாவின் ஜாதவ்பூர் பல்கலைக்கழகத்தில் ஒப்பீட்டு இலக்கியத்தில் ஆய்வுப்படிப்பு படித்திருக்கும் அவர், பன்மொழி கவிஞரும், மொழிபெயர்ப்பாளரும், கலை விமர்சகரும், ச்மூக செயற்பாட்டாளரும் ஆவார்.

Other stories by Joshua Bodhinetra