হাজার হাজার বছর আগে সে এক অদ্ভুতুড়ে দেশ ছিল, লালাল্যান্ড তার নাম। সেথায় রাজত্ব করতেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এক রাজা — মহামহিম দীনেরন্দ্র মোমোদাদা রসদ। রাজার বজ্র (আঁটুনি ফস্কা গেরো) সম হুকুম: খাবও না, খেতেও দেব না। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে...এই যাহ্! দড়িদড়া গেল কই? চুরি গেছে বুঝি? না না! রাজামশায় সব নিলামে চড়িয়েছিলেন গো। আর পশ্চিম মুলুকের ওই যে খোক্ষসরাজ গৌদি মাতান? উনি দিব্যি সমস্ত কিছু কিনে ফেলেছেন।

তা একদিন হয়েছে কী, লালাল্যান্ডের কুলপুরোহিত হাতিমশা ঘুমের মধ্যে একখান দুঃস্বপ্ন দেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন! উফ্, সে কি ভয়ানক দৃশ্য — পাহাড়ি প্রদেশের এক ধনা হুলগরীয়া এসে মোমোদাদার মুকুট-সিংহাসন সব কেড়ে নিয়েছে। ত্রাহি ত্রাহি! এই হুলগরীয়া জাতিটা অত্যন্ত ফাজিল, কীসব গণমন্ত্রতন্ত্র জাদুটোনা করে বেড়ায়। সাততাড়াতাড়ি এসে হাজির হলেন মোমোদাদার পেয়ারের জ্যোতিষীরা, ছক-কেটে গুনে-টুনে তেনারা বিধান দিলেন — মোতা-গা দেবীর পবিত্র গোবর দিয়ে একটা ১০৮ ফুট লম্বা ধূপ বানাতে হবে। মোতা-গা আবার কে? হায় কপাল, তাও জানো না? তিনিই তো ইলেক্টোরাল বন্ডের অধিষ্ঠাত্রী।

তবে আর কি, মোতা-গা দেবীর পেট কেটে, জরুরি সব বন্ড-টন্ড বার করে, ইয়াব্বড় ধূপ বানিয়ে তা জ্বালানো হল। ওহোহো সে কি গন্ধ! কি অপূর্ব অপার্থিব সে চাষিমারা মজুরহারা জুমলাপানা গন্ধ! গল্পে আছে, ভুখা আসমানের জঠরে জঠরে সে ধূপের ধোঁয়া যখন পাক খেতে খেতে মিশে যায়, গৌদি মাতান আর হাতিমশার হাতে-হাত রেখে তাতাথৈথৈ করে নেচে বেড়িয়েছিলেন খোদ মহারাজা দীনেরন্দ্র মোমোদাদা রসদ। হয়তো সে যাত্রা ফাঁড়া কেটেছিল, হয়তো বা কাটেনি, কে জানে! শুধু এটুকুই জানি যে ধূপের সঙ্গে সঙ্গে লালাল্যান্ড জুড়োল, নটেগাছটি মুড়োল, গণতন্ত্রও ফুরোল।

জশুয়া বোধিনেত্রর কণ্ঠে মূল ইংরেজি লিমেরিকগুলি শুনুন

দেশের আমি, দ্বেষের তুমি

১)
কামের সাথে অন্ত্যমিলে অনুপ্রাসে লাথি,
রংটি বড়ই সোঁদর যেন চ্যবনপ্রাশের কাঠি,
গোবর দিয়ে তৈরি সে যে
ব্যালট দেবীর হিয়ার মাঝে
ফুট গুণে তাই একশো-আটের জুমলা আগরবাতি।

২)
‘হ্যাঁ’ বলেছে একশো কোটি, ‘না’ বলেছে কে?
মাসদেড়েকের ধূপের ধোঁয়ায় হিন্দু জেগেছে।
সাত খুনে তাই নেইকো বাধা,
উড়ছে গরু, নাচছে গাধা,
দোষটা রে ভাই শম্বুকেরই, তাই তো মরেছে।

৩)
স্বয়ংসেবার সংবিধানে বাবরি ঝরা দিন,
ন্যাংটা রাজার পোশাক দেখে পারলে চিনে নিন,
আইটি সেলের ভাইটি ওরে
গন্ধ শুঁকে যাসনে সরে,
হাম্বামাতার ধূপের সুবাস ঠিক যেন গিলোটিন।

৪)
একশো-আটের ধূপে ভোটের বালাই,
ক্যামেরা ক্যামেরা ঘেরা গেরুয়া কানাই!
ডেমোক্রেসির শেষে
রাজা সে কুমির পোষে —
খাল কেটে আনিয়াছি, কোথা বলো যাই?

৫)
হাসি হাসি ভুখা চাষি, হনু-মনু অ্যান্ড
দাঙ্গা দাঙ্গা খেলে ওই লালাল্যান্ড।
ধূপের আঙারে আঁকা
বুলডোজারের চাকা —
বামচিকি কংগ্রেস হোক তবে ব্যানড্!

Poems and Text : Joshua Bodhinetra

ஜோஷுவா போதிநெத்ரா, பாரியின் இந்திய மொழிகளுக்கான திட்டமான பாரிபாஷாவின் உள்ளடக்க மேலாளராக இருக்கிறார். கொல்கத்தாவின் ஜாதவ்பூர் பல்கலைக்கழகத்தில் ஒப்பீட்டு இலக்கியத்தில் ஆய்வுப்படிப்பு படித்திருக்கும் அவர், பன்மொழி கவிஞரும், மொழிபெயர்ப்பாளரும், கலை விமர்சகரும், ச்மூக செயற்பாட்டாளரும் ஆவார்.

Other stories by Joshua Bodhinetra
Editor : Pratishtha Pandya

பிரதிஷ்தா பாண்டியா பாரியின் மூத்த ஆசிரியர் ஆவார். இலக்கிய எழுத்துப் பிரிவுக்கு அவர் தலைமை தாங்குகிறார். பாரிபாஷா குழுவில் இருக்கும் அவர், குஜராத்தி மொழிபெயர்ப்பாளராக இருக்கிறார். கவிதை புத்தகம் பிரசுரித்திருக்கும் பிரதிஷ்தா குஜராத்தி மற்றும் ஆங்கில மொழிகளில் பணியாற்றுகிறார்.

Other stories by Pratishtha Pandya
Illustration : Atharva Vankundre

அதர்வா வங்குண்ட்ரே மும்பையை சேர்ந்த கதைசொல்லியும் ஓவியரும் ஆவார். பாரியின் பயிற்சிப் பணியில் 2023ம் ஆண்டின் ஜூலை முதல் ஆகஸ்ட் வரை இருந்தார்.

Other stories by Atharva Vankundre