অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুর জেলার খাসির মাংসের দোকান এবং বাজারে নিয়মিতভাবে যানবাহনগুলিতে করে ছাগল ও ভেড়ার চালান নিয়ে আসা হয়। পশুপালকদের কাছ থেকে পশু ব্যবসায়ীরা এইসব জীবজন্তু খরিদ করে এক বাজার থেকে অন্য বাজারে চক্কর কাটতে থাকেন ভালো দাম পাওয়ার আশায়। আমি যখন এই ছবিটি তুলেছিলাম, তখন কদীরীর দিক থেকে অনন্তপুরের দিকে ছাগল বোঝাই টেম্পোটি যাচ্ছিল।

আমার ধারণা ছিল যে, টেম্পোর উপরে বসা লোকটি (যাঁর নাম আমি জেনে নিতে পারিনি) এইসব পশুদের মালিক হবেন বুঝি। এই ভেবে আমি অনন্তপুর শহরে প্রতি শনিবার যে ছাগল-ভেড়ার হাট বসে সেখানে গিয়ে আশপাশের লোকজনকে এই ছবিটি দেখিয়ে তাঁর নাম জানার চেষ্টা করি। কয়েকজন ব্যবসায়ী আমাকে বলেন যে ছবির মানুষটি নিজে একজন ব্যবসায়ীও হতে পারেন, আবার কোনও ব্যবসায়ীর অধীনে কর্মরত একজন পশুরক্ষকও হতে পারেন, কিন্তু তাঁরা এই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না। আমার সঙ্গে এই হাটে আলাপ হল পি. নারায়ণস্বামী নামক জনৈক পশুপালকের। তিনি বলেন, তিনি নিশ্চিত যে ছবির মানুষটি মোটেই পশুগুলির মালিক নন। “তিনি সম্ভবত একজন মজুর। টেম্পোর উপরে একজন মজুরই বসতে পারেন [এইরকম বেপরোয়াভাবে]। তিনি ছাগলগুলির মালিক হলে নিজের পা দুটিকে সাবধানে ভেতরে ঢুকিয়ে তারপর পশুদের নিয়ে রওনা দিতেন। যিনি প্রতিটি ছাগলের পেছনে ৬,০০০ টাকা খরচ করেন, তিনি কিছুতেই নিজের পা দুটিকে ভাঙার ঝুঁকি নেবেন না।”

বাংলা অনুবাদ: স্মিতা খাটোর

Rahul M.

ராகுல் M. ஆந்திரப் பிரதேசம் அனந்தபூரிலிருந்து இயங்கும் சுதந்திர ஊடகவியலாளர்.

Other stories by Rahul M.
Translator : Smita Khator

ஸ்மிதா காடோர், பாரியின் இந்திய மொழிகள் திட்டமான பாரிபாஷாவில் தலைமை மொழிபெயர்ப்பு ஆசிரியராக இருக்கிறார். மொழிபெயர்ப்பு, மொழி மற்றும் ஆவணகம் ஆகியவை அவர் இயங்கும் தளங்கள். பெண்கள் மற்றும் தொழிலாளர் பிரச்சினைகள் குறித்து அவர் எழுதுகிறார்.

Other stories by Smita Khator