“বেঁচে থাকার জন্য বহুরূপী প্রথাটি আমাদের ধরে রাখতেই হবে। কৃষি কাজ করার মতো আমাদের কোনও চাষের জমি নেই,” জানান রাজু চৌধুরী। তাঁদের মতো বহুরূপী শিল্পীরা ধর্মীয় এবং পৌরাণিক নানান চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেন।

এই প্রতিবেদনের সঙ্গের ফিল্মটিতে চৌধুরী পরিবারের কথা তুলে ধরা হয়েছে - বাবা-মা এবং সন্তানরা সকলেই বীরভূম জেলার বিষয়পুর গ্রামে বসবাসকারী বহুরূপীর পেশায় নিযুক্ত মানুষ। জনতার মনোরঞ্জন করার উদ্দেশ্যে একটানা বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁরা গ্রামেগঞ্জে, শহরে ভ্রমণ করে ছোট ছোট নাটিকা, পালা ইত্যাদি প্রদর্শন করে থাকেন।

একদা অত্যন্ত জনপ্রিয় এই লোক শিল্প এখন পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রমশ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কয়েক প্রজন্ম ধরে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা বহুরূপী শিল্পীরা কোনমতে জীবনধারণ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে দর্শকদের বিনোদন সংক্রান্ত রুচিতে আমুল বদল আসায়, বহুরূপী পরিবারগুলির তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা এই পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু, চৌধুরীদের মতো অন্য পরিবারগুলির সামনেও উপার্জনের আর কোনও পথ খোলা নেই।

PHOTO • Ankan Roy & Sagarika Basu

পিতা রাজুর সহায়তায় ছিদাম চৌধুরী বহুরূপীর অত্যন্ত সূক্ষ্ম, বিশদ এবং জটিল রূপসজ্জায় নিজেকে সাজিয়ে তুলছেন

PHOTO • Ankan Roy & Sagarika Basu

মালা চৌধুরী হলেন জীবনধারণের জন্য বহুরূপীর পেশার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে থাকা এই পরিবারের তারকা শিল্পী

এখানে প্রদর্শিত অঙ্কণ রায় (ক্যামেরা) এবং সাগরিকা বসুর (সম্পাদনা) তৈরি করা ফিল্মটি শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।

বাংলা অনুবাদ: স্মিতা খাটোর

Ankan Roy & Sagarika Basu

அங்கன் ராய் சாந்திநிகேதனில் உள்ள விஸ்வபாரதி பல்கலைக்கழகத்தில் பத்திரிகை மற்றும் மக்கள் தொடர்பியல் துறையில் முதுகலைப் பட்டம் பெற்றுள்ளார். சகரிகா பாசு, 2016 PARI பயிற்சிப் பணியில் இருந்தவர். சாந்திநிகேதனில் உள்ள விஸ்வபாரதி பல்கலைக்கழகத்தின் முன்னாள் மாணவியும் ஆவார். அவர் இப்போது கொல்கத்தாவை தளமாகக் கொண்ட செய்தித் தொலைக்காட்சியான 24 காண்டாவில் ஆசிரியர்குழுப் பயிற்சியாளராக உள்ளார்.

Other stories by Ankan Roy & Sagarika Basu
Translator : Smita Khator

ஸ்மிதா காடோர், பாரியின் இந்திய மொழிகள் திட்டமான பாரிபாஷாவில் தலைமை மொழிபெயர்ப்பு ஆசிரியராக இருக்கிறார். மொழிபெயர்ப்பு, மொழி மற்றும் ஆவணகம் ஆகியவை அவர் இயங்கும் தளங்கள். பெண்கள் மற்றும் தொழிலாளர் பிரச்சினைகள் குறித்து அவர் எழுதுகிறார்.

Other stories by Smita Khator