“বেঁচে থাকার জন্য বহুরূপী প্রথাটি আমাদের ধরে রাখতেই হবে। কৃষি কাজ করার মতো আমাদের কোনও চাষের জমি নেই,” জানান রাজু চৌধুরী। তাঁদের মতো বহুরূপী শিল্পীরা ধর্মীয় এবং পৌরাণিক নানান চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
এই প্রতিবেদনের সঙ্গের ফিল্মটিতে চৌধুরী পরিবারের কথা তুলে ধরা হয়েছে - বাবা-মা এবং সন্তানরা সকলেই বীরভূম জেলার বিষয়পুর গ্রামে বসবাসকারী বহুরূপীর পেশায় নিযুক্ত মানুষ। জনতার মনোরঞ্জন করার উদ্দেশ্যে একটানা বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁরা গ্রামেগঞ্জে, শহরে ভ্রমণ করে ছোট ছোট নাটিকা, পালা ইত্যাদি প্রদর্শন করে থাকেন।
একদা অত্যন্ত জনপ্রিয় এই লোক শিল্প এখন পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রমশ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কয়েক প্রজন্ম ধরে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা বহুরূপী শিল্পীরা কোনমতে জীবনধারণ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে দর্শকদের বিনোদন সংক্রান্ত রুচিতে আমুল বদল আসায়, বহুরূপী পরিবারগুলির তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা এই পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু, চৌধুরীদের মতো অন্য পরিবারগুলির সামনেও উপার্জনের আর কোনও পথ খোলা নেই।
এখানে প্রদর্শিত অঙ্কণ রায় (ক্যামেরা) এবং সাগরিকা বসুর (সম্পাদনা) তৈরি করা ফিল্মটি শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
বাংলা অনুবাদ: স্মিতা খাটোর