উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার মাঝৌলি গ্রামে জমি ও বন অধিকারকে বুঝে নিতে তাঁদের আদিবাসী সমাজের মানুষজনকে সংগঠিত করে তোলার ব্যাপারে সুকালো গোণ্ড জানাচ্ছেন, “জীবনে প্রথমবারের মতো নিজেকে শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছিল।”
অখিল ভারত বন শ্রমজীবী ইউনিয়নের (অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন অব ফরেস্ট ওয়ার্কিং পিপল - এআইইউএফডব্লিউপি) সদস্য সুকালো গোণ্ড সংগঠনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রয়োজনীয় ফোন করা, মিছিল-মিটিংয়ে যোগ দেওয়া, আদালতের চক্কর কাটা (দেখুন ‘ আমি জানতাম সেদিন আমাকে জেলে ঢোকাবে... ’) ইত্যাদি কাজ শুরু করার আগে প্রতিদিন ভোর ৫টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আগে গরুর দেখাশোনা, রান্নাবান্না এবং ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা ইত্যাদি গৃহস্থালির কাজগুলি সেরে নেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি ঢ্যাঁড়শ কাটছেন, হাতের কাছেই আছে তাঁর ফোন। সংগঠনের এক নতুন সদস্যের ফোনের অপেক্ষায় আছেন তিনি। কাছেই এক পড়শির শিশুসন্তান দাঁড়িয়ে ইতিউতি দেখছে।
( প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরপরই ২০১৮ সালের ৮ই জুন সুকালোকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং আবারও হাজতে পাঠানো হয় । )
বাংলা অনুবাদ : স্মিতা খাটোর