গাছটা লাগিয়েছিলেন তাঁর পিতামহ। মহাদেব কাম্বলে তাঁর আমগাছের ছায়ায় বসে জানালেন, এই গাছ “তাঁর চেয়ে বয়সে প্রবীণ।” সবেধন নীলমণি ওই গাছটিই, দুই একর জমির উপর বিস্তৃত আমরাই (আম বাগান) খাঁ খাঁ করছে।
এই একাকী আমগাছ কথা বলে — বলে কেন পূর্ব মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার বরঞ্জ মোকাসা গ্রামের কাম্বলে সহ আরও অনেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী, চারবার নির্বাচিত সাংসদ, ভারতীয় জনতা পার্টি পরিচালিত ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের হান্সরাজ আহিরকে পরাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কয়লাখনির জন্য যখন কাম্বলের জমি অধিগৃহীত হয়, তখনই কাটা পড়ে তাঁর বাকি আম গাছগুলি। এই অঞ্চলে বিগত দশ বছর ধরে গজিয়ে ওঠা প্রকল্পগুলি বরঞ্জ মোকাসা গ্রামের (২০১১ সালের আদমশুমারিতে একে বারাঙ্গ মোকাসা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে) সব ভূসম্পত্তি, জায়গা-জমি দখল করে, মানুষকে কর্মচ্যূত করে সর্বনাশ করেছে।
বরঞ্জ মোকাসা গ্রামকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হলেও গ্রামের মানুষের পুনর্বাসনের কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি। ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন গ্রামের প্রায় ১,৮০০ জন বাসিন্দা।
২০০৩-এ কর্ণাটক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (কেপিসিএল) নামে একটি রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বরঞ্জের কয়লাখনিগুলির বরাত পায় এই শর্তে যে উত্তোলিত কয়লা কেবলমাত্র কেপিসিএল-এর বিদ্যুৎ তৈরির কাজে ব্যবহার হবে। কর্ণাটক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড আবার ভারতবর্ষের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি খনিজ সম্পদ উত্তোলনকারী সংস্থা ইস্টার্ন মাইনিং আন্ড ট্রেডিং এজেন্সিকে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়। এর জন্য এরা কর্ণাটক-এমটা নামের একটি যৌথ কোম্পানি চালু করে।
২০০৮-এর মধ্যে কেপিসিএল বরঞ্জ মোকাসা ও তৎসংলগ্ন চেক বরঞ্জ সহ সাতটি গ্রামের ১৪৫৭.২ হেক্টর জমি দখল করে নেয়। বরঞ্জ মোকাসা হারায় ৫৫০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে ৫০০ হেক্টর জুড়ে খনি আর বাকি জমিতে নির্মিত হয়েছে রাস্তা, অফিস ও বর্জ্যপদার্থ ফেলার যায়গা। খনিগুলিতে মোটামুটি ৬৮ মিলিয়ন টন জমা কয়লা আছে - অতএব এগুলি থেকে বাৎসরিক ২.৫ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন সম্ভব।
নাগপুরের সেন্টার ফর পিপলস কলেক্টিভের প্রবীণ মোটের সংগৃহীত তথ্য থেকে জানা যায় যে চন্দ্রপুর জেলার ৫০টি গ্রাম থেকে, বিগত ১৫ বছরে, ৭৫,০০০-১০০,০০০ মানুষ সরকারি ও বেসরকারি কয়লাখনির জন্য উচ্ছিন্ন হয়েছেন।
‘অর্থ ছড়ানো হয়েছে’, বললেন চলখুরে। ‘আমাদের জমি বাড়ি দখল করতে ওরা আমাদের নিজেদের কিছু লোককে ঘুস দিয়েছে। পরিবার পরিজন নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছে গ্রাম’
রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতা ছাড়াই জমি ক্রয় করতে চেয়েছিল কেপিসিএল। জমির অবস্থান ও পরিমাণ অনুসারে বরঞ্জ মোকাসা গ্রামের মানুষ একর প্রতি ৪-৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। বাস্তুভিটে ও অন্যান্য সম্পত্তির জন্য পেয়েছেন বর্গফুট প্রতি ৭৫০ টাকা।
অন্যদিকে গ্রামবাসীরা চেয়েছিলেন সুষ্ঠু পুনর্বাসন বন্দোবস্ত — তাঁদের জমির জন্য ভদ্রস্থ মূল্য, খনি অঞ্চল থেকে দূরে নতুন কোনও গ্রামে বাসস্থান ও পরিবারপিছু অন্তত একজনের স্থায়ী চাকরি। যেহেতু এমটা সরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ প্রয়াস, গ্রামবাসীদের পক্ষ নিয়ে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার মধ্যস্থতা করতেই পারত।
সেই কারণে গ্রামের মানুষ আশা করেছিলেন যে তাঁদের সাংসদ দেখবেন যাতে তাঁদের দাবি পূরণ হয়। “কিন্তু পুর্বাসনের জন্য বহু দূরে অবস্থিত সুযোগ-সুবিধাহীন একটি স্থান আমাদের দেখানো হয়।” গলি ধরে নিজের পরিত্যক্ত বাড়ির দিকে এগোতে এগোতে দলিত সমাজ কর্মী শচীন চলখুরে জানান, “আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি ওই প্রস্তাব।” সরকারি ও বেসরকারি কয়লাখনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, নিজের ও এলাকার অন্যান্য গ্রামের মানুষের পুনর্বাসন আন্দোলনের পুরোভাগে অনেকদিন ধরে আছেন চলখুরে।
অনেক সভা অনেক আন্দোলন হয়েছে কিন্তু মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। দুজন বড়ো জমিদার প্রথমে তাঁদের জমি বিক্রি করেন। তাঁদের আজ কেউ আজ জীবিত নেই। তাঁদের পরিবারের লোকেরা গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। পূর্বতন সরপঞ্চ , মহাকুলকার ক্ষোভের সঙ্গে জানালেন, “দুই জমিদার, প্রয়াত রামকৃষ্ণ পারকর ও প্রয়াত নারায়ণ কালে প্রথম তাঁদের জমি ইএমটিআ-কে বিক্রি করেন।”
“অর্থ ছড়ানো হয়েছে”, বললেন চলখুরে। “আমাদের জমি বাড়ি দখল করতে ওরা আমাদের নিজেদেরই কিছু লোককে ঘুস দিয়েছে। পরিবার পরিজন নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছে গ্রাম। তাছাড়া, কেউ কেউ স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছিল খনিতে কাজ পাবে ভেবে।”
প্রথমে ছোটো তারপর বড়ো এলাকা জুড়ে একবার কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হওয়ার পর আর কারোরই জমি ধরে রাখার উপায় রইল না। “এখানকার প্রতি ইঞ্চি জমি, এমনকি এই কার্যালয়ও এখন কয়লা উত্তোলনকারী কোম্পানির সম্পত্তি”, একটি সাধামাটা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বসে জানালেন বরঞ্জ মোকাসা গ্রামের উন্নয়ন আধিকারিক বিনোদ মেশারাম।
এইভাবে হারিয়ে গেল গ্রামের মুখ্য পেশা - চাষাবাদ। কৃষিশ্রমিকরা কাজ হারালেন অথচ বিনিময়ে কিছুই পেলেন না। চলখুরে বললেন, “খনি সামান্য কিছু মানুষকে মাত্র কাজ দিয়েছিল। কিন্তু যখনই খনির কাজ বন্ধ হল সেই কাজও হারিয়ে গেল।”
খনির প্রাক্তন কেরানি রামা মাত্তে বললেন খনিতে কিছু সময়ের জন্য ৪৫০ জন কাজ পেয়েছিলেন কেরানি, পাহারাদার অথবা শ্রমিক হিসাবে। এর মধ্যে ১২২ জন বরঞ্জ মোকাসা গ্রামের। কাজ যাওয়ার পর মাত্তে তিন বছর রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। গতবছর গ্রাম থেকে মোটামুটি চার কিমি দূরে নাগপুর-চন্দ্রপুর সড়কের উপর অবস্থিত ছোটো শহর, ভদ্রাবতীতে তিনি একটি ‘সেতু’ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন (রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিক্রয় কেন্দ্র যেখানে সরকারি ফর্ম ইত্যাদি পাওয়া যায়)। তাঁর মতো আরও অনেকেই খনির কাজ হারিয়ে এখন হয় দিনমজুরি করেন অথবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। পুরোনো কথা মনে করে মাত্তে বললেন, “আমাদের সেচের সুবিধাযুক্ত তিন ফসলি জমি ছিল।”
খনিটি ৪-৫ বছর সচল ছিল। ২০১৪ সালে উচ্চতম আদালতের দেশব্যাপী সব ব্যক্তি মালিকানাধীন নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহৃত ক্যাপটিভ খনি বাতিল করে দেয় এবং তদোবধি উত্তোলিত কয়লার উপর জরিমানা আরোপ করে। কেপিসিএল পরে আবার খনির বরাত পেলেও আদালত আরোপিত জরিমানা কে প্রদান করবে এই মর্মে এমটার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করে তা এখনও স্থগিত আছে। কেপিসিএল এমটার বদলে আর কাউকে কাজ চালানোর জন্য না পাওয়ায় বরঞ্জ মোকাসার খনি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। “কোম্পানি এখন আমাদের জমির মালিক আর খনিটি পড়ে আছে অচল হয়ে”, বললেন প্রাক্তন সরপঞ্চ মহাকুলকার। “যদি কোনোদিন মামলা মেটে এরা তৎক্ষণাৎ কাজ শুরু করবে আর আমাদের চলে যেতে হবে।”
পরিবেশ ও শব্দ দূষণ উপেক্ষা করে বহু মানুষ এখনও গ্রামে রয়ে গেছেন। যদিও গ্রামটি এখন পতিত জমিতে পর্যবসিত হয়ে কর্মহীন মানুষের ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। যেদিন এখানকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেদিন থেকে এখানকার মানুষ আর কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান না, বাড়ি-ঘরের উন্নতি ঘটানো বা রাস্তা পুনর্নির্মাণ করা যায় না।
গ্রামের বর্তমান সরপঞ্চ , মায়াতাঈ মহাকুলকার বললেন, “আমাদের কৃতকর্মের ফল আমরা পাচ্ছি। আমরা নিরুপায়। বয়স্ক মানুষদের অবস্থা আরও কঠিন।” ভূমিহীনদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। তিনি জানালেন যে তাঁরা জমির কাজ হারিয়েছেন কিন্তু সে বাবদ কোনও ক্ষতিপূরণ বা কাজ পাননি। “ক্ষতিপূরণের অর্থে কেউ কেউ দূরের কোনও গ্রামে জমি কিনেছেন। আমি বরঞ্জ থেকে ২০ কিমি দূরে অবস্থিত একটি গ্রামে দশ একর জমি কিনেছি। রোজ সেখানে যাই... একে তো উন্নয়ন বলে না।”
এখনকার পতিত জমিকে ঘিরে আছে চারটি বৃহৎ খনি। সবচেয়ে পুরোনো খাদানটি বর্ষার জলে পূর্ণ। টিলার ধারে পড়ে থাকা কয়লা উত্তোলনকারী কোম্পানির ফেলে যাওয়া যন্ত্রপাতিতে মরচে ধরছে । “বরঞ্জের ক্ষয়িষ্ণু দেহটা পড়ে আছে। এর আত্মা হারিয়ে গেছে”, নিজের একদা ফলন্ত সবুজ আমবাগানে বসে, আশির কোঠায় বয়স, মহাদেব কাম্বলে বললেন।
বহু কর্মহীন যুবক কাজের খোঁজে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। অনেকে বাড়ি বন্ধ করে ভদ্রাবতী শহরে চলে গেছেন। এঁদের মধ্যেই আছেন বিনোদ মেশারামের তিন ছেলে। ২০০৫ সালে ১১-একর জমি দিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা গ্রামছাড়া। বরঞ্জ ছাড়াও ওখানকার এক গুচ্ছ গ্রামের উন্নয়ন আধিকারিক হওয়ায় মেশারাম এখনও সরকারি বেতন পান।
বহু মানুষ ভদ্রাবতী যান কাজের খোঁজে। কিন্তু এঁরা জানালেন যে কাজ পাওয়া সেখানে মোটেই সহজ নয়। খনির কারণে জমিহারা হওয়া ওই তহশিলের অনেকেই এই শহরে যান কাজের খোঁজে। শচীন চলখুরে জনালেন “কাজের তুলনায় শ্রমিক অতিরিক্ত হয়ে গেছে।” তিনি নিজেও ভদ্রাবতীতে থেকে স্থানীয় একটি বেসকারি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন।
তাঁর ঠাকুরমা, অহল্যাবাঈ পাতিল বললেন, “এই প্রকল্প আমাদের পক্ষে লাভজনক হয়নি।” তিনি একাই থাকেন গ্রামে। “কাজের খোঁজে বেশিরভাগ কমবয়সী পুরুষরা চলে গেছে। আর পড়ে আছি আমরা।”
পঞ্চফুলাবাঈ ভেলকরের দুই ছেলেও চলে গেছেন। তাঁর পরিবারের দুই একর জমি গেছে খনিতে। আমরা এখানে থাকি। আমার ছেলে সপরিবারে থাকে ভদ্রাবতীতে”, তিনি জানালেন।
সরকারি প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আজও বরঞ্জ মোকাসা গ্রামের ক্ষতিপূরণ-পুনর্বাসনের দাবি পূরণ না হওয়ায় গ্রামবাসীরা বলছেন যে তাঁরা এইবার সাংসদ হন্সরাজ আহিরের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।
আহির ১৯৯৬-এ লোকসভায় প্রথমবার নির্বাচিত হন। ১৯৯৮, ১৯৯৯ নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে তিনি পরাস্ত হন। তারপর ২০০৪ থেকে পরপর তিনবার বরঞ্জ মোকাসা তাঁকে সাহায্য করেছে কংগ্রেস প্রার্থীদের পরাজিত করতে।
ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯ লাখ ভোটদাতা আছেন এই চন্দ্রপুর লোকসভা কেন্দ্রে। এর মধ্যে চারটি নির্বাচনী ক্ষেত্র চন্দ্রপুর জেলায় আর দুটি পার্শ্ববর্তী ইয়াভতমল জেলায়।
সুরেশ (বাবু) ধনোরকর নামে, কুনবি জাতির একজন প্রার্থীকে কংগ্রেস দল ওয়ারোরা (ভদ্রাবতী) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছে। ধনোরকর ২০১৯ সালে শিবসেনা ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। বরঞ্জ মোকাসায় ‘অন্যান্য অনগ্রসর জাতি’-এর অন্তর্গত কুনবি প্রভাবশালী সম্প্রদায়। আহিরও ওই একই অন্যান্য অনগ্রসর জাতিভুক্ত, তবে গোয়ালা বা যাদব সম্প্রদায়ের। তাঁর প্রতি কিন্তু উভয় জাতিরই সমর্থন ছিল।
ওই নির্বাচনী ক্ষেত্রে কোনও তৃতীয় উল্লেখযোগ্য প্রার্থী নেই। বিগত তিনটি নির্বাচনে পূর্বতন খেতকারী কামগর পক্ষের বামনরাও চতপ নামের পূর্বতন এক বিধায়ক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট ভাগ করে আহিরকে সুবিধা করে দেন।
চলখুরে জানিয়ে দেন, খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের মানুষ আহিরকে “আর কোনোভাবেই ভোট দেবে না।” আহির তাঁদের জন্য অধিকতর ক্ষতিপূরণ ও উন্নততর পুনর্বাসনের জন্য লড়বেন ভেবে চলখুরে এবং তাঁর অনেক সহযোগী সমাজকর্মী বিগত নির্বাচনে তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। “আমাদের মনে হচ্ছে আমরা ঠকে গেছি। গ্রামের মানুষ তাঁদের ক্রোধের প্রকাশ ঘটাবেন আগামী নির্বাচানে।”
নিজের বাগানের একমাত্র আমগাছটির তলায় বসে কাম্বলেও একই কথা বললেন, “যাই হোক আহিরকে আমরা ভোট দেব না; উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।” পরিত্যক্ত গ্রামটির এই সিদ্ধান্ত: যে নেতা আমাদের ত্যাগ করেছে তাকে এবার ত্যাগ কর!
অনুবাদ : চিল্কা