পাতন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বাষ্প একটা প্যাঁচানো নল বেয়ে জমা হয় ভূগর্ভস্থ একখান বিশাল পাত্রে। সে বাষ্প যাতে তরলে পরিণত হয়, তার জন্য প্যাঁচানো নলটিকে চুবিয়ে রাখা হয় ঠান্ডা জলে। একপ্রস্থ পাতনের ফলে তৈরি হয় উরাক নামক পানীয়, এতে অ্যালকোহলের মাত্রা অল্প। এটি ৪ মাস অবধি তাজা রাখা যায়, লিটার-পিছু এর দাম ১০০ টাকা এবং স্থানীয় মাতালদের মধ্যে এটির চাহিদা মারাত্মক। এরপর দ্বিতীয় একটি পাত্রে রাখা প্রথম মাড়াইয়ের রসের সঙ্গে মেশানো হয় উরাক। আবারও সময় কাটে ধিকিধিকি আগুনের আঁচে, শেষে অন্য একটি প্লাস্টিকের পাত্রে এসে জমা হয় ফেনি
ডানদিকে: এইবছর কাজুফলের উৎপাদন ছিল বেশ ভাল। পরিবারের আন্দাজ, ১,০০০ লিটার ফেনি তো মিলবেই। এর দাম ১,২০০ টাকা প্রতি কৌসো (পরিমামের একটি প্রাচীন একক, এক কৌসোতে ৭৫০ মিলিলিটার মাপের ২০টি বোতল ধরে)। তবে ফার্নানদেজ পরিবার কিন্তু এই বস্তুটি দোকান, শুঁড়িখানা কিংবা বৃহত্তর পাতনকারীদের বেচেন না। গোয়ানিজ পরিবারবর্গের মধ্যে বাঁধাধরা কিছু খদ্দের আছে ইনাসিনা, লুই ও বোস্তিয়াওয়ের, যাঁরা বর্ষা নামার আগেই সারা বছরের মতন ফেনি মজুত করে রাখতে ভালোবাসেন