ভাগ্যলক্ষী হবে ভীমের সাকিন,
সংবিধানের সুরে বুদ্ধ বিধাতা
ভারতরত্না সে তো ভীমের সুজাতা,
ঘুমঘুমি ঘুনসিতে কাজলের চাঁদ
খুকি তোর স্বপ্নেরা দুখের নিষাদ।
“আমার খুব মন
খারাপ করছে এটা ভেবে যে এই বছর করোনার জন্য আম্বেদকর জয়ন্তী উদযাপন করা গেল না,”
জানালেন কুসুমতাই সোনাওয়ানে, যাঁর বাড়িতে আমরা ধোন্ডুভাউয়ের বিখ্যাত ঘুমপাড়ানি
গানটির এই সমবেত উপস্থাপনা রেকর্ড করেছিলাম। সেটা ছিল ২০১৮ সালের মার্চ আর
গেয়েছিলেন পুণে জেলার মুলশি তালুকের নন্দগাঁও গ্রামের প্রমীলা কাম্বলে সহ
অন্যান্য মহিলারা।
কুসুমতাইয়ের
বয়স সত্তরের কোঠায়, তিনি আমাকে ফোনে জানিয়েছিলেন যে এই লকডাউন আর করোনা ভাইরাসের
সঙ্কট অত্যন্ত চিন্তার ব্যাপার। "এর আগে এরকম কিছু কোনদিনও দেখিনি। খুবই
উদ্বিগ্ন আমি। আমাদের রেশনের দোকানগুলো খোলা আছে বটে, তবে সরকার যে বলেছিল বিনে
পয়সায় রেশন দেবে, সেটা এখনও পর্যন্ত পাইনি।" যেদিন আমাদের এসব কথাবার্তা
হচ্ছিল কুসুমতাই সকালবেলা তাঁর খেত থেকে ছোলা কাটছিলেন।
নন্দগাঁওয়ের
মহিলারা এই যে পংক্তিগুলো গাইছেন, এগুলি ডঃ আম্বেদকরের জন্মকে ঘিরে ধোন্ডুভাউ
শিন্ডের লেখা একটি ঘুমপাড়ানি ছড়ার অংশবিশেষ। বাবাসাহেবের মা-বাবা ভীমাবাই আর
রামজী আম্বেদকরের আশা ও আনন্দ, সদ্যোজাত ভীমের প্রথম বারো দিনে সারা গ্রাম জুড়ে
পালিত উৎসব ইত্যাদি ঘিরে এক এক করে বারো দিনের কথা ছড়ার আলাদা আলাদা স্তবকে
বর্ণিত হয়েছে।
কাছেই হাডশি গ্রামে তাঁর বাবা নামদেবের গ্রামে থাকতেন ধোন্ডুভাউ। তবে তাঁর মা বাগুবাই কাম্বলে ছিলেন নন্দগাঁওয়ের মেয়ে এবং বাগুবাইয়ের কোনও ভাইবোন না থাকায় মা-বাবার রেখে যাওয়া বাড়িটার উত্তরাধিকারী হন তিনিই। তাই ধোন্ডুভাউ আর তাঁর দুই ভাই ছিলেন হাডশি আর নন্দগাঁও - উভয় গ্রামেরই বাসিন্দা। পঞ্চাশোর্ধ ধোন্ডুভাউয়ের মৃতুর পর পার হয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময়।
“আমার কাকু একজন আশ্চর্য মানুষ ছিলেন,” নন্দগাঁও থেকে ফোনে এমনটাই জানালেন কবি ধোন্ডুভাউয়ের ভাইপো ভাউ শিন্ডে। “ইস্কুলে মোটে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়েছিলেন, কিন্তু অজস্র ছড়া, কবিতা, গান, লোকসংগীত আর ভাগনাট্য (লোকনাটিকা) বেঁধেছিলেন সারা জীবন ধরে। আমরা তো মাঝেমাঝেই আমাদের পরিবারের লোকজন, পাড়াপড়শি আর বন্ধুবান্ধবদের সামনে তাঁর লেখা ঘারঘুটি তামাশা (গ্রামীণ যাত্রা) পরিবেশন করি। কৃষক ও কবি হওয়ার পাশাপাশি আমার কাকু হাতের কাজেও ওস্তাদ ছিলেন – তা সে রাজমিস্ত্রির কাজ হোক বা ছুতারের কাজ।”
“শিশুর জন্মের ১২ দিন পর তার বারসা (নামকরণের অনুষ্ঠান) হয়, তার আগে তাকে দোলনায় শোয়ানো হয় না," বললেন কুসুমতাই। "ওই দিনটিতে মহিলারা দোলনাটিকে সাজিয়ে এই ঘুমপাড়ানি গানটি গাইতে গাইতে শিশুটিকে দোলনায় শুইয়ে দেন। কখনও কখনও বাচ্চার একবছরের প্রথম জন্মদিনেও এটা গাওয়া হয়।"
(পারির জাঁতা পেষাইয়ের গীতি-প্রকল্পের তরফে আমরা ২০১৮ সালের মার্চে যখন এই মহিলাদের সঙ্গে দেখা করি তখন এই তাঁরা বেশ কয়েকটি ওভি অর্থাৎ মারাঠি ভাষায় রচিত দোহা গেয়েছিলেন। সেগুলি রচিত হয়েছিল সাম্যের জন্য বাবাসাহেবের সংগ্রাম এবং মাহাড় সত্যাগ্রহ ও বর্ণাশ্রম থেকে সৃষ্ট অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াইকে ঘিরে)।
প্রত্যেক বছর ১৪ই এপ্রিল বিভিন্ন উৎসবস্থলে মহিলারা যেসব গান গেয়ে ডঃ আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী পালন করেন, তার মধ্যে এই গানটি অন্যতম। এই উৎসবমুখর পরিবেশ গ্রাম থেকে গ্রামে বজায় থাকে মে মাসের প্রথমার্ধে বুদ্ধ পূর্ণিমা (গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন) পর্যন্ত। বিভিন্ন দলিত সম্প্রদায়ের স্কুলপড়ুয়া বাচ্চারাও যোগদান করে এই অনুষ্ঠানে, তারাও গান গায়, বাবাসাহেবের বিষয়ে বক্তব্য রাখে জনসমক্ষে, যেমনটা তারা করে থাকে ভারতের স্বাধীনতা দিবস আর প্রজাতন্ত্র দিবসেও।
"আমাদের পরিবারের সমস্ত বাচ্চাদেরই বাবাসাহেবের জীবনকাহিনি শোনাই," বললেন কুসুমতাই। "শোনাই তাঁর শৈশবের কথা, কেমন করে তিনি হিন্দুসমাজে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছিলেন। বিদ্যার জোরে তিনি খুব সহজেই চাকরি জুটিয়ে নিজের জন্য উপার্জন করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছিলেন যাতে আমাদের দলিত সমাজকে সংঘবদ্ধ করতে পারেন, যাতে আমরা লড়তে পারি আমাদের স্বাধিকারের জন্য, যাতে অসমতার গ্লানি দূর করে আমরা মানুষের মর্যাদা পাই।"
গরিব ডোংরি সংগঠনের (পুণে জেলার পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র মানুষজনের মধ্যে কর্মরত একটি সংগঠন) একজন কর্মী হিসেবে কুসুমতাই সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁর কথায়, "আমরা বাচ্চাদের সবই শেখাই, যাতে তারা কোনদিনও এটা ভুলে না যায় যে বাবাসাহেব আমাদের তথা সমগ্র ভারতবর্ষের জন্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।"
ধোন্ডুভাউ শিন্ডের এই ছড়ায় একের পর খণ্ডচিত্রে দৃশ্যমান হয় ১৮৯১ সালের ১৪ই এপ্রিল (যেটা ছড়াটির বাংলা অনুবাদে ছন্দের নিমিত্তে 'বিক্রম সম্বত ১৯৪৮' হিসেবে বর্ণিত হয়েছে) মহৌ শহরে (এটি অধুনা মধ্যপ্রদেশ এবং তৎকালীন সেন্ট্রাল প্রভিন্সের একটি সেনা ছাউনি অধ্যুষিত শহর) বাবাসাহেবের জন্ম, তাঁর পিতা রামজী আম্বেদকর, মাতা ভীমাবাই আম্বেদকর এবং পিসিমা মীরাতাইয়ের আনন্দ যাপনের মুহূর্ত, এবং জন্মলগ্নে বাঁশি ও ভেঁপু বাজিয়ে গ্রামবাসীদের আনন্দ উদযাপন।
এ খবর টরেটক্কার মাধ্যমে শহরে শহরে, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হল। এই ছড়াটিতে ভীমরাওয়ের পিতা রামজী স্বপ্ন দেখছেন যে তাঁর ১৪তম সন্তান দেশের জন্য মহান কর্মকাণ্ডে নিবিষ্ট হয়েছে – ভারতের সংবিধানের রূপকার এবং ভারতরত্ন (ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার) বিজয়ী হিসেবে। সাকপাল পরিবারের আদি নিবাস রত্নগর্ভা গ্রাম অম্বাদাওয়ের হীরের দ্যূতির মতোই উজ্জ্বল তাঁদের সবার প্রিয় নবজাতক ভীম।
(ডঃ আম্বেদকরের পরিবারের আদি পদবি ছিল সকপাল। তাঁদের আদি নিবাস রত্নগিরি জেলার অম্বাদাওয়ে গ্রামে, আর সেই গ্রামের নামে ভীমরাওয়ের বাবা নিজের পদবি বদলে অম্বাদাওয়েকর করে দেন। তারপর ভীমরাও যখন বিদ্যালয়ে ভর্তি হন, সেখানে তাঁর মাস্টারমশাই কৃষ্ণ কেশব আম্বেদকর নিজের আম্বেদকর পদবিটি বাবাসাহেবকে প্রদান করেন নাম নিবন্ধিত করার সময়ে।)
উচ্চবর্ণের হাতে যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ও নিপীড়িত হয়ে পিছিয়ে থাকা বহুজন সমাজের চিরশত্রু হিসেবে কবি চিহ্নিত করছেন সনাতনী, অর্থাৎ বর্ণবাদী হিন্দু সমাজব্যবস্থাকে। তিনি বলছেন যে বিভিন্ন দলিত সম্প্রদায়কে সংঘবদ্ধ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভীমরাওয়ের উত্থান শোষকবর্ণের পাঁজরে গেঁথে দেবে মৃত্যুভয়, তারা অচিরেই পরাজিত হবে এই যুদ্ধে। এটা ডঃ আম্বেদকরের বহুল কৃতিত্বের ইঙ্গিত বহন করে, যার মধ্যে একটি ছিল দিল্লির দরবারে আপন ক্ষমতায় একটি স্বতন্ত্র স্থান দখল করা। ছড়ার শেষ পংক্তিতে ধোন্ডুভাউ শিন্ডে তিনবার মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করছেন বাবাসাহেবের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যরূপে।
এই ঘুমপাড়ানি গানটি রক্তমাংসে ফুটিয়ে তোলে রামজী আর ভীমাবাইয়ের আনন্দ আর আকাঙ্ক্ষাগুলিকে, সেই সঙ্গে ফুটে ওঠে সদ্যজাত ভীমরাওয়ের জীবনের প্রথম ১২টি দিন ঘিরে উদযাপিত হওয়া নানান উৎসবের খুঁটিনাটি।
ধোন্ডুভাউয়ের সেই শিরোনামহীন ছড়াটি, যেটিকে সুরে বেঁধে নন্দগাঁওয়ের মহিলারা গেয়ে থাকেন:
মহৌ সে গাঁয়ে
নামে আনন্দরাগ,
ঘুমঘুমি খুকি মোর আঁঝ্লা
সোহাগ।।
বিক্রম সম্বতে এক নয় চার,
অষ্টমে ইতি টানি চৈতি
বেলার।
মহৌ গাঁয়ের কথা এপ্রিলই
জানে,
একুশে খুশির গাথা মাটির উজানে।
ঘুম ঘুম আয় সখী টি দিয়ে
যা,
ঘুমপাড়ানির দেশে আমার
খোকা।।
রত্ন সে জন্মেছে
চতুর্দশায়,
সুখের জোয়ারে ভাসে রানী
ভীমাবাই,
রামজী সে পিতা তার আনন্দ নাম,
মীরাপিসি মৌরসি সকপাল ধাম।
ঘুম ঘুম আয় তবে, খুকি মোর
ওই,
ঘুমের আলোলদানি রেখে যা রে
সই।।
পয়লা সে দিন ছিল অতি
চঞ্চল,
মহৌ গাঁয়ের মোড়ে মানুষের
ঢল।
বাজে বাঁশি, নাচে শিঙা,
ভেঁপু ধরে সুর,
খুশির আঁখর ডাকে দুলকি
সুদূর।
ঘুম ঘুম রেখে যা রে সাঁঝলা
আদর,
ঘুমঘুমি দস্তকে ধায় খোকা
মোর।।
দোসরা তারিখ ছিল মিঠে
হতবাক,
শহরে গেরামে গে'ল বেতারের
ডাক।
ভীমাই ভীমাই মা গো সোনার
জঠরে,
ভানুমতী হীরা এলো বিজুরি
বাসরে।
ঘুমঘুমি সোনা ঘুম ধীরে ধীরে
আয়,
দেয়ালা দুলিয়ে মোর খুকির
নিশায়।।
শোন শোন হিরামন তেসরা সে
রাত -
বত্তিশা গুণে হ'ল শরীর
নিশাত,
গাঁয়ের গণকবুড়ো ঠিকুজি
বানায়,
এ খবর মুখে মুখে ত্রিভুবনে
ছায়।
ঘুম ঘুম ওরে চুম তুই দিয়ে
যাস,
খোকার নজরটিকা ছোঁয়ানি
বাতাস।।
চারকোনা দিনে জ্বলে আনকোরা
স্বপ্ন,
এ ছেলে কপালগুণে হবে হবে
রত্ন,
শুনিবে ভারতবাসী তারই
রণডঙ্কা -
শত্রুর মুখে ছাই, বুকে রবে
শঙ্কা।
ঘুম ঘুম ঘুমছড়া ওরে খুকি
আয়,
চাঁদের পালক রাখি তোর
দেয়ালায়।।
পঞ্চমে পাঁচরঙা খবর পাঠাই,
যাপনে যাতনে কৃতকর্ম সাজাই,
রামজী মাধোজী যেথা বর্ণ
কবীরা,
সকপালী সংসারে জন্মেছে
হীরা।
ঘুমঘুমে মরসুমে ছড়া বাঁধি
সই,
খোকা যেন ভীমরাতে স্বপন
কুড়োয়।।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ কে গো? শুধাইলো
ভীম,
ষষ্ঠমী শহাদতে করুনা অসীম।
ছেলেমেয়ে এক হয়ে জ্বেলেছে
ফাগুন -
বহুজনে, বন্ধনে, ভীমের
আগুন।
দোলনাতে খুকি মোর, বুলবুলি
ঘুম,
সকাতরে শৈশবে সূর্য নিঝুম।।
সপ্তমে সমাগমে করিয়াছি পণ
-
ন'মাসে ভীমাই ধরে এমন রতন,
দলিত সিংহ সে যে প্রেমের
সুতায়
দিবানিশি একাকারে ভারত
সাজায়।
ঘুম ঘুম খেলাঘরে কাঁদে খোকা
মোর
ঠুনকো নজরকাঠি ঘুমের ভিতর।।
আট গুণে পার হলে অষ্টমা দিন
ভাগ্যলক্ষী হবে ভীমের
সাকিন,
সংবিধানের সুরে বুদ্ধ
বিধাতা,
ভারতরত্না সে তো ভীমের
সুজাতা।
ঘুমঘুমি ঘুনসিতে কাজলের
চাঁদ,
খুকি তোর স্বপ্নেরা দুখের
নিষাদ।।
নবম সে দিন আনে আনখ যাপন,
সোহাগী রত্নগিরি অধরা যেমন,
অম্বাদাওয়ের খনি -
জ্বেলেছে আঁধারবনী -
ভারতী মায়ের কোলে শিশু
রাজাভীম,
ঘুম ঘুম এলো টুম ইষ্টি
চাঁদিম।।
দহদিশে ভেসে যায় দশমী
নিশান,
আকাশ গাঙের বাণী ভীম ভগবান।
বেতারে সলতে জুড়ে - আলোয়
আঁধার ওড়ে -
চুপিচুপি সোনা ঘুম আলগোছে
আয়,
ক্লান্ত সে খোকা মোর দেশের
ছায়ায়।।
সুখবর নিয়ে আসে তিথি
একবিংশ
ভীমের পাঁজরে হবে
হেঁদুয়ানি ধ্বংস।
সনাতনী শিকলের গুমর মলিন
এ স্বপ্ন দেখেছিল রামজী
সেদিন,
মুছে যাবে 'জয় ভীমে'
মনুবাদী বায়না,
আয় ঘুম যায় ঘুম দলিতের
আয়না।।
একে দুই, ফোটে জুঁই তথাগত
হরফে,
ভীমের আগুন লাগে সনাতনী
বরফে।
যুগে যুগ মিলে যাবে, ধুয়ে
যাবে লজ্জা,
দ্যাখো হে ভীমের নাদে জাগে
মৃত মজ্জা।
দোলনা দুলিয়ে খোকা আঁক
কাটে নাগরে,
ঘুমঘুমে আঁখি তার আজাদিয়া
জাগরে।।
ভীমাই সে ভীম ধরে বিজুরিয়া
পেটে তার -
ভয়ে কাঁপে সনাতনী জ্বলে
পুড়ে ছারখার।
লড়াই সে আজও বাকি - উড়কি
ঘুমের পাখি -
কবি সে ধোন্ডুভাউ কুর্নিশে
তিন,
ঘুমঘুমি খোকা মোর ভীমের
সাকিন।।
কবি সে ধোন্ডুভাউ কুর্নিশে
তিন,
ঘুমঘুমি খোকা মোর ভীমের
সাকিন।।
অনুবাদ: জশুয়া বোধিনেত্র (শুভঙ্কর দাস)