মমতা পারেদ ছিলেন আমাদের সহকর্মী ছিলেন। ২০২২-এর ১১ ডিসেম্বর মেধায় নজিরবিহীন, অঙ্গীকারে দৃঢ় এই তরুণ সাংবাদিকের প্রয়াণ পারি’র সহকর্মীদের জন্য অত্যন্ত বেদনার এক অধ্যায় ছিল।
তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি বিশেষ পডকাস্ট প্রকাশ করছি আমরা, এখানে মমতার কণ্ঠে শোনা যাবে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ওয়াড়া তালুক নিবাসী তাঁর নিজের ওয়ারলি জনগোষ্ঠীর কথা। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে এটি রেকর্ড করেছিলেন মমতা।
বুনিয়াদি সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত ওয়ারলি ও অন্যান্য আদিবাসী সমাজের সংগ্রামই ছিল মমতার সাংবাদিকতার প্রতিপাদ্য বিষয়। অকুতোভয় এই সাংবাদিক প্রত্যন্ত, অখ্যাত সেইসব জনপদের খবর প্রকাশ করতেন যেগুলি কোনও মানচিত্রে ঠাঁই পায়নি। ক্ষুধা, শিশুশ্রম, দাদনবদ্ধ শ্রমজীবন, বুনিয়াদি শিক্ষা, ভূমি অধিকার, বাস্ত্তুচ্যূতি, জীবিকা ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ে ঘিরে লিখেছেন বহু প্রতিবেদন।
এই পডকাস্টে তাঁর নিজের গ্রাম, মহারাষ্ট্রের
নিম্বাভালিতে নেমে আসা এক অন্যায়ের
উপাখ্যান
শোনাচ্ছেন মমতা। মুম্বই-ভাদোদারা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য প্রয়োজনীয় এক জলপ্রকল্পের অজুহাতে
সরকারি আমলাতন্ত্র কেমন করে গ্রামবাসীদের প্রজন্মলালিত জমি থেকে বেদখল করেছিল, সেই
কাহিনি উঠে এসেছে তাঁর ভাষ্যে। গ্রামটিক ছিন্নভিন্ন করে প্রকল্পটির পত্তন হয়, জমি হারানোর
ক্ষতিপূরণ বাবদ হাতে যা তুলে দেওয়া হয় তা নেহাতই খোলামকুচির সামিল।
আমরা, পিপলস আর্কাইভ অফ রুরাল ইন্ডিয়ায় মমতার সহকর্মীরা, তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করি। পারি’তে প্রকাশিত মমতার নয়খানি প্রতিবেদন এই লিংকে আপনারা পড়তে পারেন।
নিজের মৌলিক লেখালেখি ও আদিবাসী সমাজের সঙ্গে কাজের মধ্যে দিয়ে চিরন্তন হয়ে আছেন মমতা পারেদ। তাঁর না থাকার মধ্যে আমরা তাঁর শাশ্বত উপস্থিতি অনুভব করি।
এই পডকাস্ট প্রস্তুতিতে সাহায্য করেছেন হিমাংশু সইকিয়া, তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ।
প্রচ্ছদে ব্যবহৃত মমতার ছবিটি নেওয়া হয়েছে সিটিজেনস্ অফ জাস্টিস অ্যান্ড পিস ওয়েবসাইট থেকে। ছবি ব্যবহারে অনুমতির জন্য পারি সিজেপি’র প্রতি কৃতজ্ঞ। মমতা এই সংস্থায় ফেলো ছিলেন।
অনুবাদ: বাংলা বিভাগ, পারি