আম্মা আমায় হামেশাই বলতেন, “কুমার, ওই মাছের গামলাটা যদি হাতে না তুলতাম রে, এতদূর পৌঁছতেই পারতাম না আজ।” আমার জন্মের পরের বছর থেকেই মাছ বেচা শুরু করেছিলেন আম্মা। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আমার জীবন মাছের চারদিকেই ঘুরপাক খেয়েছে।

মাছের আঁশটে গন্ধে ভরে থাকত আমাদের গেরস্থালি। সারাটাক্ষণ ঘরের কোণে ঝুলত এক বস্তা শুঁটকি। বর্ষার প্রথম বৃষ্টির দিনে ঘরে আসা কার্প (রুই গোত্রীয়) মাছ রাঁধতেন আম্মা। রান্নাটা সুস্বাদু তো বটেই, এটা খেলে সর্দিকাশি থেকেও দূরে থাকা যায়। আর সেলাপ্পি বা স্পটেড স্নেকহেড ক্যাটফিশের (টাকি মাছ) ঝোল রাঁধলে তো কথাই নেই! অপূর্ব গন্ধে ম-ম করত সারা বাড়ি।

ছোটোবেলায় আমি মাঝেমধ্যেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে মাছ ধরতে যেতাম। তখনকার দিনে মাদুরাইয়ের জওহরলালপুরম অঞ্চলের চারিদিকে জল ছিল। জেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিল অজস্র কুয়ো, নদী, হ্রদ, পুকুর। ঠাকুর্দার সঙ্গে এ ডোবা থেকে সে ডোবায় ঘুরে বেড়াতাম। সঙ্গে থাকত পানি তুলে মাছ ধরার একখান যন্তর — ঝোলানো ঝুড়ি (সুইং বাস্কেট)। তাছাড়া ছিপ ফেলতে নদীর পাড়েও যেতাম।

ভুতের গপ্প বলে ভয় দেখাতেন আম্মা, যাতে নদীতে না যাই। কিন্তু খাল-বিল-সরোবরে যে অনন্ত বহমান পানি! জলের আশপাশেই কাটত জীবনটা। গাঁয়ের অন্য বাচ্চাদের সঙ্গেও মাছ ধরতাম। যেবার মাধ্যমিক পাশ করি, সেই বছর থেকে জেঁকে বসে জলাভাব। প্রতিটা দীঘির পানির স্তর পড়ে গেল, ক্ষতিগ্রস্ত হল চাষবাসও।

আমাদের গ্রাম জওহরলালপুরমে তিনখানা সায়র আছে — একখান বড়ো সরোবর, একটা ছোটো হ্রদ আর মারুথাঙ্কুলম দীঘি। বড়ো আর ছোটো সায়র দুটি আমাদের বাড়ির কাছেই। ওই দুটো নিলামে চড়িয়ে গাঁয়ের লোকদের ইজারায় দেওয়া হয় মাছচাষের জন্য। সেটাই ছিল তাঁদের রুজিরুটির একমাত্র সংস্থান। প্রথাগতভাবে সে মাছ ধরা হত থাই মাসে (মধ্য-জানুয়ারি থেকে মধ্য-ফেব্রুয়ারি)।

বাবা মাছ কিনতে বেরোলে আমিও লেজুড় হয়ে যেতাম তাঁর পিছু পিছু। সাইকেলটার পিছনে মাছ রাখার একখান বাক্স বাঁধা থাকত। গ্রাম থেকে গ্রাম ঘুরে ঘুরে মাছ কিনতেন বাবা, ২০-৩০ কিলোমিটার দূরেও পাড়ি দিতে হয়েছে একেকদিন।

Villagers scouring the lake as part of the fish harvesting festival celebrations held in March in Madurai district’s Kallandhiri village
PHOTO • M. Palani Kumar

মাদুরাই জেলার কাল্লানধিরি গাঁয়ে মাছ-ধরার পরব চলে মার্চ মাসে, সে সময় দীঘির জলে মাছ ধরছেন গাঁয়ের লোকজন

মাদুরাইয়ের বিভিন্ন সরোবরে পালিত হয় মাছ-ধরার পার্বণ, আশেপাশের গাঁ থেকে বহু মানুষ মাছ ধরতে আসেন। ঝমঝমে বৃষ্টি, ভালো পরিমাণে মাছ আর সব্বার আনন্দের জন্য প্রার্থনা করেন তাঁরা। মানুষের বিশ্বাস, মাছ ধরলে তবেই ভালোমতন বৃষ্টিবাদলা হবে, আর মাছ-ধরার পরব পালন না করলে খরা আটকানো অসম্ভব।

আম্মা বলেন, এই পরবের সময়েই মাছের ওজন সবচাইতে বেশি হয়, তাই মুনাফাও থাকে চড়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লোকে জ্যান্ত মাছ পছন্দ করে। মরসুম পেরিয়ে গেলে মাছের ওজনও কমে যায়, আর সেই পরিমাণে ওঠেও না জালে।

মাছ বেচে আমাদের গ্রামের অসংখ্য মহিলা বেঁচে আছেন। এখানকার স্বামীহারা মেয়েদের রুজিরুটির এটাই একমাত্র উৎস।

মাছের দৌলতেই তো আমি ভালো ফটোগ্রাফার হয়ে উঠতে পেরেছি। ২০১৩ সালে প্রথম ক্যামেরাটা কিনলাম, মাছ কিনতে যাওয়ার সময় ওটা সঙ্গে নিয়ে যেতাম। একেকসময় এমনও হয়েছে যে মাছের ছবি তোলার চক্করে মাছ কিনতেই ভুলে গেছি। আম্মার ফোনে হুঁশ ফিরত, দেরি হচ্ছে বলে বকুনিও খেতাম। মা মনে করাতেন, লোকে তাঁর থেকে মাছ কিনবে বলে দাঁড়িয়ে আছে। তখন পড়ি-কি-মরি হয়ে ছুটতাম মাছ নিয়ে।

মানুষজন ছাড়াও হ্রদের তীর বরাবর বিভিন্ন পাখি আর গরু-মোষের দেখা মিলত। একখান টেলিফটো লেন্স কিনে জলজ বন্যপ্রাণের ছবি তুলতে লেগে পড়লাম — সারস, হাঁস, খুদে সব পাখপাখালি। পাখি দেখতে আর ফটো তুলতে যে কতটা ভাল্লাগতো তা বলে বোঝানো মুশকিল।

আর আজ না আছে বৃষ্টি, না আছে দীঘির পানি। মাছেরাও পাড়ি দিয়েছে না-ফেরার দেশে।

*****

Senthil Kalai shows his catch of kamma paarai fish. He enjoys posing for pictures
PHOTO • M. Palani Kumar

সদ্য ধরা কাম্মা পারই (রূপচান্দা বা রূপচাঁদ মাছ) তুলে ধরেছেন সেন্থিল কালই। ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে তাঁর বড্ড ভালো লাগে

ক্যামেরাখানা হাতে আসার পর সায়রে জাল ফেলা জেলেদের ছবিও তুলতে লাগলাম — পিচাই আন্না, মোক্কা আন্না, কার্তিক, মারুদু, সেন্থিল কালই। ওঁদের সঙ্গে নিজের হাতে জাল ফেলে মাছ ধরে অনেক কিছুই শিখেছি জীবনে। এঁরা প্রত্যেকেই মাদুরাই পূর্ব ব্লকের পুদুপট্টি গাঁয়ের কাছে একটি জনপদে থাকেন। প্রায় ৬০০ জনের বাস এই গ্রামে, তাঁদের মধ্যে ৫০০ জনই মৎস্যজীবী। মূলত মাছ ধরেই পেট চলে এই গ্রামের।

সি. পিচাইয়ের বয়স ৬০। তিরুনেলভেলি, রাজাপালায়াম, তেনকাশি, কারাইকুডি, দেবকোট্টাই, আরও নানান জায়গার হ্রদে ঘুরে ঘুরে মাছ ধরেন ইনি। মোটে ১০ বছর বয়সে মাছ ধরায় হাতেখড়ি নিয়েছিলেন তাঁর বাবার কাছে। আব্বার পায়ে পায়ে মাছ ধরতে যেতেন এদিক সেদিক। কখনও কখনও তো দিনকতক থেকেও যেতে হত, যাতে মাছের পরিমাণটা পর্যাপ্ত হয়।

“বছরের ছয় মাস মাছ ধরি। যেটুকু ধরি, তা বাকি ছয় মাস ধরে বেচি। আর যেটুকু বেঁচে যায়, তা দিয়ে শুঁটকি বানাই, যাতে বছরভর আয়-ইনকাম জারি থাকে,” পিচাই আন্না জানিয়েছিলেন আমায়।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির পানিতে পুষ্ট দেশি মাছের ডিম পোঁতা থাকে সরোবরের মাটিতে। “কেলুতি (পাঙাশ), কোরাভা (ভেটকি), ভারা (শোল), পাম্পুপিদি কেন্দাপুদি, ভেলিচির (মৌরলা) মতো দেশি মাছ আর আগের মতো অনেকটা মেলে না। মাঠেঘাটে ছড়ানো কীটনাশক চুঁইয়ে চুঁইয়ে এসে দূষিত করে দীঘির জল। আজকাল তো সমস্ত মাছই প্রজনন করানো হয়, তাদের খাওয়ানোও হয় কৃত্রিমভাবে, ফলে সরোবরের উর্বরতা বেশি করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,” জানালেন তিনি।

মাছ-ধরার বরাত না পেলে দিনমজুরি করে পেট চালান পিচাই, সে এনরেগায় (জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ আইন) খাল খনন হোক — যার স্থানীয় নাম ‘নূর নাল পানি’ — কিংবা যা হোক একটা কিছু।

Left: C. Pichai holding a Veraal fish.
PHOTO • M. Palani Kumar
Right: Mokka, one of the most respected fishermen in Y. Pudupatti  hamlet, says that they do not get native varieties like ara , kendai , othai kendai , thar kendai and kalpaasi anymore
PHOTO • M. Palani Kumar

বাঁদিকে: ভেরাল (চ্যাং) মাছ হাতে সি. পিচাই। ডানদিকে: ওয়াই. পুদুপট্টি জনপদের সবচাইতে নামডাকওয়ালা জেলেদের মধ্যে মোক্কা অন্যতম। তিনি বলেন যে আজকাল আরা (পাঁকাল), কেন্দাই (কাতলা), ওতাই কেন্দাই, থর কেন্দাই আর কালপাসির (কালবোস) মতো দেশি প্রজাতির মাছ আর পাওয়া যায় না

মাছ-ধরার মরসুম মিটলে দিনমজুরি করে খাওয়ার কথা আরেকজন জেলের কাছেও শুনলাম। ৩০ বছরের এই মানুষটির নাম মোক্কা। তাঁর স্ত্রী একটি হোটেলে খাবার পরিবেশন করেন। তাঁদের সন্তান দুটি যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

ছোটোবেলায় মা-কে হারিয়ে দিদার কাছেই মানুষ হয়েছেন মোক্কা। তাঁর কথায়: “পড়াশোনায় একফোঁটা মন বসত না, তখন খেত-খামারে কাজ ধরলাম, গতর খাটিয়ে খেতাম। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে চাই আমার বাচ্চাদুটো যাতে পড়াশোনা করে ভালো চাকরিবাকরি পায়।”

*****

বাপ-দাদার থেকে বিরাসতে পাওয়া শিক্ষায় দীক্ষিত মালকালই, ৩২, হাতে করে জাল বুনতে ওস্তাদ। “কেবল আমাদের গাঁ ওতাকাডইতেই আজও হাতে-বোনা জাল ব্যবহার করা হয়। ঠাকুর্দার আমলে যেসব জাল ইস্তেমাল হত, তার সঙ্গে আজকের এই জালের কোনও মিল নেই। তখনকার লোকে নারকেল ছোবড়া পাকিয়ে পাকিয়ে জাল বানাতেন,” জানালেন তিনি, “তাঁরা জাল বুনতে কোকো পিটের [নারকেল ছোবড়া] সন্ধানে বেরোতেন, দেশগাঁয়ে এই জালের বিশাল কদর ছিল। অন্য কোথাও মাছ ধরতে গেলেও এই জাল বয়ে নিয়ে যেত লোকে।

“মাছ আর মাছ-ধরা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, আমাদের গাঁয়ে অসংখ্য জেলে রয়েছে। গ্রামের কোনও ওস্তাদ জেলে মারা গেলে তাঁর খাটিয়ার একটা বাঁশ খুলে তা দিয়ে নতুন জালের বুনিয়াদ নির্মিত হয় — এটাই এখানে সম্মান জানানোর রীতি। আমাদের গাঁয়ে আজও এই রীতি ধরে রেখেছি আমরা।

Left: Malkalai (foreground) and Singam hauling nets out of the water.
PHOTO • M. Palani Kumar
Right: They have to dive into the lake to drag out their nets
PHOTO • M. Palani Kumar

বাঁদিকে: পানি থেকে জাল টেনে টেনে তুলছেন মালকালই (বাঁদিকে) ও সিংঘম (ডানদিকে)। ডানদিকে: হ্রদের জলে ডুব দিয়ে তবেই জাল টেনে বার করতে পারেন মৎস্যজীবীরা

“আমাদের বেরাদরিতে সায়রের পানি দেখেই মাছের আকার ধরে ফেলে লোকে। আঁজলা ভরে জল নিয়ে দেখে — ঘোলা হলে বলে, বড়ো বড়ো মাছ আছে পানিতে; জল যদি স্বচ্ছ হয়, তার মানে মাছের সংখ্যা কম।

“আগে আগে মাদুরাইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ ধরতে যেতাম আমরা — তোন্ডি, কারাইকুডি, মায় দরিয়ার [ভারত মহাসাগর] পাড়ে কন্যাকুমারী অবধি। তেনকাশির প্রত্যেকটা দীঘিতে গেছি; জলাধারেও মাছ ধরেছি। একেকবার তো ৫-১০ টন মাছও ধরেছি, অথচ জালে কম-বেশি যা-ই মাছ উঠুক না কেন, মজুরি সেই একই ছিল।”

“এককালে মাদুরাইয়ে প্রায় ২০০টা সরোবর ছিল, কিন্তু হুহু করে শহর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যানিশ হতে লেগেছে হ্রদগুলো। তাই জন্যই তো মাছে খোঁজে দূর-দূরান্তে পাড়ি দিতে হয় আমাদের। সায়র-দীঘি সব হারিয়ে গেলে আমাদের মতো মানুষের, যারা সেই জন্ম জন্মান্তরের জেলে, তাদের জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাছ ব্যবসায়ীদের উপরেও তার ছাপ পড়ে।

“আমার বাবারা চার ভাই ছিল, আমরাও চার ভাই। সব্বাই মৎস্যজীবী। বিয়ে-থা করেছি, তিনটে মেয়ে আর একটা ছেলেও আছে। গাঁয়ের জোয়ান ছেলেমেয়েরা আজকাল স্কুল-কলেজে যায় বটে, কিন্তু মাছ-ধরার টান আজও রয়ে গেছে। তাই স্কুল-কলেজ ছুটি হলেই মাছ ধরতে লেগে যায়।”

The shore of chinna kamma (small lake) in Jawaharlalpuram area in Madurai where the writer would walk to buy fish from the lake
PHOTO • M. Palani Kumar

মাদুরাইয়ের জওহরলালপুরম অঞ্চলের একটি চিন্না কাম্মার (ছোট্ট সরোবর) পাড়। সায়রের মাছ কিনতে এখানেই হেঁটে হেঁটে যেতেন লেখক

Left: Local fishermen say that lakes come alive when water is let out from the dam.
PHOTO • M. Palani Kumar
Right: C.Pichai from Y.Pudupatti village is well-known for his nuanced skills in this difficult craft
PHOTO • M. Palani Kumar

বাঁদিকে: জলাধার থেকে পানি ছাড়লে দীঘিটা যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে, জানালেন স্থানীয় জেলেরা। ডানদিকে: মাছ-ধরায় তাঁর নৈপুণ্যের জন্য খ্যাতনামা ওয়াই. পুদুপট্টি গাঁয়ের সি. পিচাই

Fishermen readying for action at the lake in Kunnathur, north Madurai. They have rented a mini truck to carry all the equipment they require
PHOTO • M. Palani Kumar

উত্তর মাদুরাইয়ের কুন্নাতুরে, সায়রে মাছ ধরার তোড়জোড় করছেন মৎস্যজীবীরা। মাছ-ধরা ও বহন করার জন্য যত সাজ-সরঞ্জাম রয়েছে, সেসব বওয়ার জন্য একটি ছোটো ট্রাক ভাড়া করেছেন তাঁরা

Fishermen move around the big lake in Jawaharlalpuram in Madurai to increase the catch
PHOTO • M. Palani Kumar

যাতে বেশি পরিমাণে মাছ ওঠে, তাই মাদুরাইয়ের জওহরলালপুরমের একটি পেল্লায় দীঘির জলে সাঁতরাচ্ছেন ধীবরেরা

They cast their fishing nets and get into the deeper end of the lake
PHOTO • M. Palani Kumar

জাল ফেলার পর হ্রদের গভীরতম অংশে পৌঁছে যান তাঁরা

Fishermen agitate the deeper waters in an attempt to trap more catch
PHOTO • M. Palani Kumar

গভীর জলে আলোড়ন তুলছেন মৎস্যজীবীরা, যাতে অধিকতর সংখ্যায় মাছ ওঠে জালে

Fishermen hauling nets out of water in the big lake in Jawaharlalpuram. Mokka (extreme left), says there are stones and thorns in the lake bed. 'If pricked by a thorn, we won't be able to even walk properly so we have to be very careful when throwing the nets'
PHOTO • M. Palani Kumar

জওহরলালপুরমের একটি প্রকাণ্ড সায়রে, পানি থেকে জাল টেনে তুলছেন জেলেরা। সরবোরবক্ষ যে কাঁকর ও কাঁটায় ভরা, সেকথা জানালেন মোক্কা (বাঁদিকের শেষে), ‘পায়ে কাঁটা ফুটলে ঠিকমতো হাঁটতেও তো পারব না, তাই খুব সাবধানে জাল ফেলতে হয়’

They drag the net towards the shore in the small lake in Kunnathur
PHOTO • M. Palani Kumar

কুন্নাথুরের একটি ছোট্ট হ্রদে, পাড়ের দিকে জাল টেনে নিয়ে চলেছেন তাঁরা

They move their catch towards shallow waters where temporary structures have been built to collect and store fish
PHOTO • M. Palani Kumar

জাল-ভরা মাছ নিয়ে সরোবরের অগভীর প্রান্তের দিকে চলেছেন ধীবররা, মাছ মজুত করার জন্য অস্থায়ী কিছু কাঠামো বানানো হয়েছে সেখানে

That’s a kanadi katla variety in C. Pichai’s hands (left).
PHOTO • M. Palani Kumar
Raman (right) shows off his catch of a katla
PHOTO • M. Palani Kumar

একখান কানাডি কাতলা (রুই মাছ) হাতে সি. পিচাই (বাঁদিকে)। সদ্য জালে ওঠা কাতলা মাছ প্রদর্শন করছেন রমন (ডানদিকে)

M. Marudhu holding the mullu rohu kenda fish in his hand
PHOTO • M. Palani Kumar

হাতে একখানি মুল্লু রোহু কেন্দা (মৃগেল বা মিড়িক মাছ) ধরে আছেন এম. মারুদু

Fish caught during the day are stored in a temporary structure called ' aapa' to keep the catch fresh until evening when it will be taken and sold at the market
PHOTO • M. Palani Kumar

দিনের বেলা মাছ ধরে ‘আপা’ নামের একধরনের অস্থায়ী চালাঘরে রাখেন জেলেরা, যাতে সেগুলো তাজা থাকে। তারপর সন্ধ্যাবেলা সেগুলো নিয়ে গিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়

Neer kaagam (cormorant) is one of the most commonly sighted birds in the big lake in Jawaharlalpuram
PHOTO • M. Palani Kumar

জওহরলালপুরমের বড়ো সরোবরে যত প্রজাতির পাখি রয়েছে, তাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি এই নীর কাগম (পানকৌড়ি)

Fishermen eating lunch as they sit on a hillock near Kunnathur lake
PHOTO • M. Palani Kumar

কুন্নাথুর সায়রের ধারে একটি টিলায় বসে মধ্যাহ্নভোজ সারছেন ধীবরের দল

As the fishermen head home, they tie their nets together into a bundle to make it easier for them to carry
PHOTO • M. Palani Kumar

ঘরে ফিরছেন জেলেরা, বইতে সুবিধে হবে বলে জাল গুটিয়ে বাণ্ডিল বেঁধে নিয়েছেন

Fishermen pushing their coracle towards the shore; it is heavy and loaded with their catch
PHOTO • M. Palani Kumar

পাড়ের দিকে কোরাকল্ (গোল নৌকা) ঠেলে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা; জালে ওঠা মাছের ভারে ওজনদার হয়ে উঠেছে নৌকাটি

They are transferring their catch from coracle to ice box to be transported for sale in other districts
PHOTO • M. Palani Kumar

অন্যান্য জেলায় বেচা হবে, তাই কোরাকল্ থেকে বরফের বাক্সে খালাস হচ্ছে মাছ

Madurai once had almost 200 lakes but with rapid urbanisation, these water bodies on which so many livelihoods once depended, are vanishing
PHOTO • M. Palani Kumar

একদা প্রায় ২০০টি হ্রদ ছিল মাদুরাইয়ে, যার ভরসায় পেট চালাতেন বহু মানুষ; কিন্তু নগরায়নের গতির কাছে হার মেনে একে একে মুছে যাচ্ছে জলাশয়গুলি

Ice boxes filled with catch being loaded into the truck in Kunnathur to be taken to the market
PHOTO • M. Palani Kumar

কুন্নাথুরের মাছ নিয়ে যাওয়া হবে বাজারে, তাই মাছভর্তি আইস-বক্স ট্রাকে তুলছেন ধীবররা

Local merchants waiting with their gunny bags to buy directly from the fishermen near the big lake in Jawaharlalpuram
PHOTO • M. Palani Kumar

জওহরলালপুরমের বড়ো হ্রদের কাছে, জেলেদের থেকে সরাসরি মাছ কিনবেন বলে চটের বস্তা নিয়ে অপেক্ষা করছেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা

As the season comes to an end and water starts drying up, fishermen pump out water left in the lake to catch korava and veral varieties
PHOTO • M. Palani Kumar

শেষের মুখে মাছ-ধরার মরসুম, শুকিয়ে যাচ্ছে পানি। কোরাভা (ভেটকি) ও ভেরাল (চ্যাং) গোত্রের মাছ ধরবেন বলে সরোবরের অবশিষ্ট জল পাম্প করে তুলে ফেলছেন মৎস্যজীবীরা

Even as water dries up in Kodikulam, this small lake still has some fish
PHOTO • M. Palani Kumar

কোডিকুলামে জল শুকিয়ে আসছে, তা সত্ত্বেও মাছে ভরা ছোট্ট হ্রদটি

The native uluva is the most delicious variety found in Madurai
PHOTO • M. Palani Kumar

মাদুরাইয়ে যত প্রজাতির দেশজ মাছ পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে সবচাইতে স্বাদু এই উলুভা (বেলে মাছ)

A family from Kallandhiri village show off their catch during the fish harvesting festival
PHOTO • M. Palani Kumar

মাছ-ধরার পরব চলছে, নিজেদের জালে-ওঠা মাছ প্রদর্শন করছেন কাল্লানধিরি গাঁয়ের একটি পরিবার

অনুবাদ: জশুয়া বোধিনেত্র

M. Palani Kumar

M. Palani Kumar is Staff Photographer at People's Archive of Rural India. He is interested in documenting the lives of working-class women and marginalised people. Palani has received the Amplify grant in 2021, and Samyak Drishti and Photo South Asia Grant in 2020. He received the first Dayanita Singh-PARI Documentary Photography Award in 2022. Palani was also the cinematographer of ‘Kakoos' (Toilet), a Tamil-language documentary exposing the practice of manual scavenging in Tamil Nadu.

Other stories by M. Palani Kumar
Photo Editor : Binaifer Bharucha

Binaifer Bharucha is a freelance photographer based in Mumbai, and Photo Editor at the People's Archive of Rural India.

Other stories by Binaifer Bharucha
Translator : Joshua Bodhinetra

Joshua Bodhinetra is the Content Manager of PARIBhasha, the Indian languages programme at People's Archive of Rural India (PARI). He has an MPhil in Comparative Literature from Jadavpur University, Kolkata and is a multilingual poet, translator, art critic and social activist.

Other stories by Joshua Bodhinetra