ভিডিও দেখুন: তিবলিঘিরি আদিবাসী টুসু সম্প্রদায়ের মুন্ডা জনজাতির মহিলারা তাঁদের নিজস্ব ভাষায় সংগীত পরিবেশন করছেন। দুই শতাব্দী আগে ঝাড়খন্ড থেকে যেসব ঠিকা শ্রমিকদের সুন্দরবনে নিয়ে আসা হয়েছিল এঁরা তাঁদেরই বংশধর

সুন্দরবনের আদিবাসীদের জীবনে সংগীতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাঁওতাল, মুন্ডা, ওরাওঁ এবং হো  প্রমুখ জনগোষ্ঠীগুলির মানুষদের ব্রিটিশ শাসকরা এই অঞ্চলে নিয়ে আসে উনিশ শতকে। জঙ্গল সাফ করা তথা নদীগুলিকে ঘেরার কাজ করার জন্য ঠিকা শ্রমিক হিসেবে তাঁদের সুন্দরবনে নিয়ে আসা হয়।

বহু বছর যাবৎ পশিমবঙ্গে বাস করার ফলে এখন তাঁদের বংশধরেরা বাংলা ভাষায় কথা বলেন। নৃত্য গীতির মাধ্যমে তাঁরা বানুয়ার মত তাঁদের আদি ভাষাগুলির স্মৃতিকে আগলে রাখেন। কেউ কেউ আবার তিবলিঘিরি আদিবাসী টুসু সম্প্রদায়ের মত গোষ্ঠী গঠন করেছেন। গ্রামবাসী এবং পর্যটক উভয়েই তাঁদের নৃত্যগীতের অনুষ্ঠান দেখার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। এই অনুষ্ঠানগুলি মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন তাঁদের উপার্জনের পথও খুলে যায় তেমনই অন্যদিকে তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও সংরক্ষিত থাকে।

এই ভিডিওটি ২০১৬ সালের মে মাসে তোলা হয়।

ভিডিওটির সহনির্দেশক অর্জুন মন্ডল গোসাবা ব্লকের রজত জুবিলি গ্রামের অধিবাসী। কাঁকড়া ধরে বিক্রি করা তাঁর পেশা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থাও চালান।

বাংলা অনুবাদ: স্মিতা খাটোর

Urvashi Sarkar

উর্বশী সরকার স্বাধীনভাবে কর্মরত একজন সাংবাদিক। তিনি ২০১৬ সালের পারি ফেলো।

Other stories by উর্বশী সরকার
Translator : Smita Khator

স্মিতা খাটোর পিপলস আর্কাইভ অফ রুরাল ইন্ডিয়া, পারি’র ভারতীয় ভাষাবিভাগ পারিভাষার প্রধান অনুবাদ সম্পাদক। তাঁর কাজের মূল পরিসর ভাষা, অনুবাদ এবং আর্কাইভ ঘিরে। স্মিতা লেখালিখি করেন শ্রম ও লিঙ্গ বিষয়ে।

Other stories by স্মিতা খাটোর