PHOTO • P. Sainath

বাঁদিক থেকে বসে আছেন : দয়ানিধি নায়ক (৮১), ছামুরু পারিদা (৯১), জিতেন্দ্র প্রধান (৮১), এবং (পিছনে) মদন ভৌই (৮০)। পানিমারা গ্রামের সাতজন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে আজ এই চারজন জীবিত আছেন।

“এই আবেদনপত্রগুলো ধরো আর ছিঁড়ে ফেলে দাও,” ছামুরু বললেন, “ এগুলো মোটেই বৈধ নয়। আদালত মোটেই এগুলোর ধার ধারে না।”

ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকাটা তাঁর দিব্যি লাগছিল।

১৯৪২ সালের আগস্ট মাস, সারা দেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। সম্বলপুর আদালতও উত্তাল। ছামুরু পারিদা তাঁর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলে আদালতের দখল নিয়ে নিজেকে জজ বলে ঘোষণা করেছেন। জিতেন্দ্র প্রধান তাঁর “আর্দালি”, পূর্ণচন্দ্র প্রধান নিয়েছেন পেশকর বা কেরানির কাজ।

এটাই ছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলনে তাঁদের অবদান।

“এই আবেদনগুলো ব্রিটিশ সরকারের উদ্দেশ্যে করা” আদালতে সমবেত হতবাক জনতার সামনে বললেন ছামুরু। “আমরা স্বাধীন ভারতের বাসিন্দা। তোমরা যদি মনে কর এই আবেদনগুলো খতিয়ে দেখা দরকার, তাহলে সঙ্গে নিয়ে যাও। আবার লিখে নিয়ে এসো। এইবার কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর উদ্দেশ্যে আবেদনগুলো লিখবে, একমাত্র তাহলেই আমরা বিবেচনা করে দেখবো।”

স্বাধীনতার ষাট বছর পরে, আগস্ট মাসেরই একটা দিনে, আজও ছামুরু গল্পটা বলেন সমান উৎসাহে। এখান তাঁর বয়স ৯১। তাঁর পাশে বসা জিতেন্দ্রর বয়স ৮১। পূর্ণচন্দ্র অবশ্য গত হয়েছেন। এখনও তাঁরা উড়িষ্যার বারগড় জেলার পানিমারা গ্রামেই থাকেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন যখন তুঙ্গে, এই গ্রাম তার অনেক সন্তান সন্ততিকে সেই সংগ্রামে যোদ্ধা হিসেবে পাঠিয়েছে। নথিপত্রের হিসেব অনুসারে শুধুমাত্র ১৯৪২ সালেই এই গ্রামের বত্রিশ জন ছেলে মেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন এখনও বর্তমান, জিতেন্দ্র এবং ছামুরু তাঁদের অন্যতম।

এই গ্রামের প্রায় প্রত্যেক পরিবার থেকে অন্তত একজান সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পানিমারা গ্রাম ব্রিটিশ সরকারের কাছে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠছিল। কিছুতেই গ্রামের মানুষের ঐক্যে ভাঙন ধরানো সম্ভব হয় নি। তাঁদের মনোবল ছিল প্রবাদপ্রতিম। দরিদ্র, নিরক্ষর কৃষিজীবী এবং দিন আনি দিন খাই সাধারাণ মানুষ কিনা ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন। এখানকার সন্তানেরা এমনই অকুতোভয়।

বলাই বাহুল্য, ইতিহাস বই খুঁজে তাঁদের কথা প্রায় পাওয়াই যাবে না। ঊড়িষ্যার অন্যত্রও হয়তো দেখা যাবে তাঁরা আজ বিস্মৃত। কিন্তু বারগড়ের এই গ্রাম আজও স্বাধীনতার সমার্থক। খুব কম গ্রামবাসীই তাঁদের সংগ্রাম থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছিলেন -- পুরষ্কার, উচ্চপদ, পেশাগত সুবিধা কোনোদিক দিয়েই নয়। কিন্তু তাঁরা এই কঠিন দায়িত্ব বহন করেছেন। এই মানুষেরাই কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।

এঁরাই হলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের পদাতিক বাহিনী। খালি পায়ে ভর দিয়ে এঁরা লড়াই করেছেন, আক্ষরিক অর্থেই। কস্মিনকালেও এঁদের কোনো জুতো ছিল না।

* * *

“আদালতে মোতায়েন পুলিশের হতচকিত অবস্থা,” ছামুরু হেসে বলেন। “কি করবে সেটাই তারা বুঝে উঠতে পারে না। আমাদের গ্রেপ্তার করতে এলে বললাম, ‘আমি ম্যাজিস্ট্রেট। আমার কাছ থেকেই এখন তোমরা আদেশ নেবে। ভারতীয় যদি হও তো আমাকে মান্য করে চলবে। আর যদি নিজেদের ইংরেজ মনে করে থাকো, তাহলে আপন দেশের রাস্তা দেখো’।”

PHOTO • P. Sainath

সরকারী তালিকাভুক্ত’ পানিমারার বত্রিশজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর সম্মানে নির্মিত স্তম্ভ

পুলিশ তখন গেল আসল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে, সেদিন তিনি নিজের বাড়িতে ছিলেন। জিতেন্দ্র প্রধান বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের নামে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় স্বাক্ষর করতে রাজি হলেন না, কাগজে কোনো নাম ছিল না যে।” অগত্যা পুলিশ ফিরে এসে আমাদের নাম জানতে চাইল। আমরা মোটেই আমাদের পরিচয় জানাই নি।”

ফাঁপড়ে পরে পুলিশের দল এবার গেল সম্বলপুরের কালেক্টরের কাছে। ছামুরুর কথায়, “এতসব নাটক দেখে বিরক্ত হয়ে তিনি বিধান দিলেন, ‘দাও না যা ইচ্ছে কয়েকটা নাম। ‘ক’, ‘খ’ এবং ‘গ’ এইসব নাম দিয়ে ফর্মটা পূরণ কর’। পুলিশও তাই করে, শেষ পর্যন্ত আমাদের দুষ্কৃতি ক, খ এবং গ নাম দিয়েই গ্রেপ্তার করল।”

সেই দিনটা পুলিশগুলোর যা গেল! “এদিকে কারাধিপতি কিছুতেই আমাদের কয়েদি হিসেবে মানবেন না। পুলিশের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি শুরু হল। তিনি বললেন : আমাকে কি গর্দভ পেয়েছো? কালকের দিনে যদি এরা পালিয়ে যায় তখন কি হবে? কি বলে রিপোর্ট করব তখন যে ক, খ আর গ পালিয়েছে? কেমন উজবুকের মতো শোনাবে তখন’। তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল হয়ে রইলেন” ছামুরু বললেন।

শেষমেষ অনেক বাকবিতন্ডার পর, পুলিশ কারারক্ষীদের সাহায্যে আমাদের জেলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করল। জিতন্দ্র জানান, “এইবারে আদালতে পেশ করার সময় তামাশাটা মোক্ষম জায়গায় পৌঁছালো। লজ্জার মাথা খেয়ে আর্দালি হাঁক পাড়ছে : ক, হাজির হও! খ, হাজির হও! গ, হাজির হও! আদালত তখন আমাদের নিয়ে কাজ শুরু করল।”

এতাসব ঝক্কি পোয়ানোর বদলা যে ইংরেজ সরকার নেবে সে তো জানা কথা। ছ’মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়ে তাঁদের অপরাধীদেরদের জন্য তৈরি জেলখানায় পাঠানো হল। “সাধারণত, রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য নির্দিষ্ট জেলেই তাঁদের পাঠানোর কথা, কিন্তু একেতো ইংরেজ সরকার বিরোধী মোক্ষম অপরাধ তার উপর পুলিশও সেইরকম নিষ্ঠুর আর প্রতিহিংসাপরায়ণ”, ছামুরু জানান।

“সে যুগে মহানদীর ওপর কোনো সেতু ছিল না। অগত্যা আমাদের নৌকো করে নিয়ে যাওয়া হল। আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করেছি, অতএব পালানোর কোনো পরিকল্পনাই আমাদের থাকতে পারে না জেনেও, আমাদের হাত বাঁধা অবস্থায় একে অন্যের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হল। নৌকাডুবির মতো ঘটনা ঘটলে, আমাদের আর প্রাণে বাঁচার কোনো পথ থাকতো না। সবার সলিলসমাধি হত। তারা আমাদের পরিবারগুলোকেও ছাড়ে নি। কারাদন্ডের সঙ্গে আমার তিরিশ টাকা জরিমানাও ধার্য হয়েছিল [সেই সময়ে তিরিশ টাকা অনেক বড় অঙ্ক। সারাদিন খেটে মানুষ তখন দুই আনার সমতুল শস্য আয় করত : পি সাইনাথ]। আমার মায়ের কাছ থেকে পুলিশ সেই টাকা আদায় করতে গেল। হুমকি দিল টাকা না দিলে আরও কঠিন সাজা দেওয়া হবে। আমার মা বলেন : ‘সেতো আমার নয়, এই গ্রামের সন্তান। আমার চেয়েও সে এই গ্রামকে ঢের বেশি সম্মান করে’। তবু তারা নাছোড়বান্দা দেখে মা বলেন : ‘এই গ্রামের সব যুবকই তো আমার সন্তান। সবার জন্য টাকা দেব নাকি!’ পুলিশের তখন নাকাল অবস্থা। মাকে তারা বলল, ‘আমাদের কিছু একটা দাও। কাস্তে বা ঐ জাতীয় জিনিষ, যাতে আমরা দেখাতে পারি যে কিছু একটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে’। আমার মা অম্লানবদনে বললেন, ‘আমাদের কাস্তে নেই, তারপর গোবরজল এনে তাদেরকে বললেন তারা যেন বিদায় হয়, তিনি এবার যেখানে তারা দাঁড়িয়েছিল সেই স্থান গোবরজল দিয়ে নিকিয়ে শুদ্ধ করবেন! উপায়ান্তর না দেখে তারা চলে গেল।”

* * *

আদালতে যখন এইসব তামাশা চলছে, পানিমারার সত্যাগ্রহীদের দ্বিতীয় দলটি তখন কাজে ব্যস্ত। ছামুরুর ভাইপো দয়ানিধি নায়েক বলেন, “আমাদের ওপর সম্বলপুর বাজার দখল করে ব্রিটিশ পণ্য ধ্বংস করার দায়িত্ব ছিল। কাকাকে আমি আমার নেতা বলে মানতাম। আমার মা আমাকে জন্ম দিয়ে মারা যান, আমি কাকার কাছেই মানুষ।”

ইংরেজ সরকারের সঙ্গে দয়ানিধির প্রথম যখন ঝামেলা বাধে তখন তাঁর বয়স এগারোর কাছাকাছি। ১৯৪২ সালে, একুশ বছর যখন তাঁর তিনি ততদিনে বেশ পোড় খাওয়া যোদ্ধা। আজ একাশি বছর বয়সে এসে সেইসব ঘটনার যাবতীয় খুঁটিনাটি তিনি পরিষ্কার মনে করতে পারেন।

“চারিদিকে তখন চূড়ান্ত ব্রিটিশবিরোধী হাওয়া। আমাদের এইভাবে দোষী সাব্যস্ত করায় তা আরও প্রবল হয়ে ওঠে। সশস্ত্র সেনা দিয়ে ইংরেজ সরকার আমাদের গ্রাম ঘিরে ফেলে, একাধিকবার তাদের দিয়ে ফ্ল্যাগমার্চ করানো হয়। কিন্তু এতসব করেও কোনো লাভ হল না।

ভূমিহীন মজুর থেকে স্কুল শিক্ষক সকলের মনেই প্রবল ব্রিটিশবিরোধী ভাব। শিক্ষকেরা এই আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁরা কাজ থেকে ইস্তফা দেন নি, কিন্তু কোনো কাজ করবেন না ঠিক করেন। তাঁদের অজুহাতটাও জব্বর ছিল : ‘ব্রিটিশদের তো আমরা স্বীকার করি না, অতএব তাদের হাতে আমাদের ইস্তফা দেবই বা কেমন করে!’ তাঁদের কর্মবিরতি জারি থাকল।

সেইসময় আমাদের গ্রাম আরও বিচ্ছিন্ন ছিল। কংগ্রেসের কর্মীরা ধরপাকড় আর গেপ্তারি এরাতে এদিকে আসছিলেন না। ফলে দেশের অন্যান্য খবরাখবর আমরা কিছুই পাচ্ছিলাম না। ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে আমাদের এই হাল ছিল। পালা করে গ্রামবাসীদের বাইরে পাঠানো হতো চারপাশের বাতাবরণ জেনে আসার জন্য। এইভাবে দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হল, আমি এই দলেই ছিলাম।

আমাদের দলের পাঁচজনেই কিশোর। প্রথমেই আমরা সম্বলপুরের কংগ্রেস কর্মী ফকির বেহারার বাসস্থানে গেলাম। ফুলমালা ছাড়াও আমাদের দেওয়া হল ‘করো অথবা মরো’ লেখা বাজুবন্ধ। আমরা বাজার অবধি কুচকাওয়াজ করে গেলাম, আমাদের পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষও ছুটে এলেন।

বাজারে পৌঁছছে আমরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিলাম। বাজারে মজুত জনা তিরিশেক সশস্ত্র পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করল।

দেখা গেল, আমাদের নিয়েও সেই এক সংশয়। অগত্যা তারা আমাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে ছেড়ে দিল।”

কেন?

“আরে, এগারো বছরের বাচ্চাদের গ্রেপ্তার করাটা হাস্যকর দেখাবে যে! তাই আমাদের মধ্যে যাদের বয়স বারোর কম, তাদের ছেড়ে দিল। কিন্তু দু’জন, যুগেশ্বর জেনা এবং ইন্দ্রজিৎ প্রধান ছাড়া পেয়েও কিছুতেই যাবে না। তারা দলের সঙ্গেই থাকবে বলে গোঁ ধরে রইল, শেষে অনেক বোঝানোর পর তারা রাজি হল। বাকিদের বারগড় জেলে পাঠানো হল। দিব্যসুন্দর সাহু, প্রভাকর সাহু এবং আমার নয় মাসের সাজা হল।”

* * *

PHOTO • P. Sainath

মন্দিরে পানিমারা অধুনা বর্তমান স্বাধীনতা সংগ্রামীরা

অশিতিপর মদন ভোই এখনও গলা খুলে গান করেন। “এই গানটা গাইতে গাইতেই আমাদের তৃতীয় দলটি সম্বলপুরের কংগেরস অফিসের দিকে যাত্রা করেছিল।” দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ইংরেজ সরকার অফিসটাকে বন্ধ করে দিয়েছিল।

তৃতীয় দলটার কাজ ছিল এই ইংরেজের হাত থেকে মুক্ত করে এই অফিসের দখল নেওয়া।

“আমার মা বাবা খুব অল্প বয়সেই মারা যান। যে কাকা-কাকিমার সঙ্গে আমি থাকতাম তাঁদের আমাকে নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যাথা ছিল না। আমাকে ঘন ঘন কংগ্রেসের মিটিং-এ যেতে দেখে তাঁদের টনক নড়ল। সত্যাগ্রহীদের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছি আমি যখন, অমনি আমাকে ওঁরা ধরে একটা ঘরে বন্ধ করে রাখলেন। আমিও অনুশোচনা করার নাটক করে বললাম নিজেকে শুধরে নেব। অঁরা আমাকে ছেড়ে দিলেন। আমি মাঠে কাজে যাওয়ার ভান করে নিড়ানি, ঝুড়ি ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। মাঠ থেকে সোজা হাঁটা দিলাম বরাগড়ে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে। আমাদের গ্রামের আরও তেরজন সত্যাগ্রহীর সঙ্গে আমিও সম্বলপুর মার্চে যাওয়ার জন্য তৈরি।  খাদি তো দূর অস্ত, আমার কোনো সার্টের বালাই ছিল না। ৯ই আগস্ট গান্ধীকে গ্রেপ্তার করা হলেও, আমাদের কাছে সেই খবর আরও দিনকতক পরে এসে পৌঁছায়। প্রতিবাদস্বরূপ তিন চারটে দলে আমাদের সম্বলপুর পাঠানোর পরিকল্পনা তখনই করা হয়।

প্রথম দলটিকে গ্রেপ্তার করা হয় ২২শে আগস্ট। আমাদের গ্রেপ্তার করা হয় পরের দিন, ২৩শে আগস্ট। ছামুরুদের নিয়ে যা নাকাল হতে হয়েছিল তাতে পুলিশতো আমাদের আর লজ্জায় আদালতেই তোলার সাহস করেনি। আমাদের আর কংগ্রেস অফিস অবধি যাওয়া হয়নি, তার আগেই পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে।”

“পানিমারা এতদিনে কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। দুষ্ট গ্রাম বলে আমাদের সবাই একডাকে চেনে।” সগর্বে বলেন ভোই।

১৯৯৭ সালের ২৯শে আগস্ট দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া সংবাদপত্রে এই নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই সিরিজের বাকি লেখাগুলো এইখানে পাবেন।

সালিহান যখন ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন

পানিমারার পদাতিক বীরেরা -২

লক্ষ্মী পান্ডার শেষ লড়াই

অহিংসার পথে নয়টি দশক

শেরপুর: মহান আত্মত্যাগ, ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি

গোদাবরী: এখনও আক্রমণের আশঙ্কায় পুলিশ

সোনাখান: দু’বার মৃত্যু হল বীরনারায়ণ সিংয়ের

কাল্লিয়াস্সেরি: সুমুকনের সন্ধানে

কাল্লিয়াস্সেরি: ৫০-এও লড়াই জারি

অনুবাদ : স্মিতা খাটোর

P. Sainath

পি. সাইনাথ পিপলস আর্কাইভ অফ রুরাল ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। বিগত কয়েক দশক ধরে তিনি গ্রামীণ ভারতবর্ষের অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকতা করেছেন। তাঁর লেখা বিখ্যাত দুটি বই ‘এভরিবডি লাভস্ আ গুড ড্রাউট’ এবং 'দ্য লাস্ট হিরোজ: ফুট সোলজার্স অফ ইন্ডিয়ান ফ্রিডম'।

Other stories by পি. সাইনাথ
Translator : Smita Khator

স্মিতা খাটোর পিপলস আর্কাইভ অফ রুরাল ইন্ডিয়া, পারি’র ভারতীয় ভাষাবিভাগ পারিভাষার প্রধান অনুবাদ সম্পাদক। তাঁর কাজের মূল পরিসর ভাষা, অনুবাদ এবং আর্কাইভ ঘিরে। স্মিতা লেখালিখি করেন শ্রম ও লিঙ্গ বিষয়ে।

Other stories by স্মিতা খাটোর